স্টাফ রিপোর্টার: কাঁথি পুরসভা দখল করতে মরিয়া বিজেপি (BJP)। প্রয়োজনে চেয়ারম্যান পদের ‘মুখ’ হিসাবে বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন শিশির অধিকারী! এই জল্পনা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। নিতান্তই শিশির প্রার্থী না হলে অধিকারী পরিবারের অন্য কোনও সদস্যকেও বিজেপির মুখ করা হতে পারে।
শিশিরবাবু (Sisir Adhikari) এখনও খাতায়কলমে তৃণমূল সাংসদ হলেও বিজেপির মঞ্চে তাঁকে শামিল হতে দেখা গিয়েছে আগেই। তাঁর সাংসদ পদ খারিজের জন্য স্পিকারকে চিঠিও দিয়েছে তৃণমূল। এর মধ্যে তিনি পুরভোটে প্রার্থী হলে তাঁর সাংসদপদ যাবেই। সেক্ষেত্রে উপনির্বাচন হবে। বিজেপি বা পরিবার হারের ভয়ে সেটা এড়াতে চায়। কিন্তু ঘটনা হল শিশিরবাবুর শরীরের যা অবস্থা, তাতে এখন দু’বছর সাংসদ থেকে দিল্লি যাতায়াত করা কঠিন। তিনি পুরসভা (Contai Municipality) সামলালে শরীরে চাপ কম পড়বে। এলাকাও তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা। তাই শিশিরবাবুকে প্রার্থী করার কথা ভাবছে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: পুণেতে নির্মীয়মাণ শপিং মলের একাংশ ভেঙে মৃত ৫ শ্রমিক, টুইটে শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর]
শেষ পর্যন্ত সেটা না হলে অধিকারী পরিবারেরই অন্য কোনও মুখকে সামনে রাখা হবে। জানা গিয়েছে, সেই সুবাদেই শুভেন্দুর দাদা কৃষ্ণেন্দু অধিকারীকে এবার রাজনীতির ময়দানে দেখা যেতে পারে। সৌমেন্দু তো আছেনই। আদি বিজেপি নেতারা মোটামুটি অধিকারী পরিবারের দাপটে ম্রিয়মাণ। এর মধ্যে রটেছে, শিশিরবাবুকে সাংসদ থেকে সরিয়ে উপনির্বাচন ডেকে আনার বদলে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নিজেও চেয়ারম্যানের মুখ হয়ে লড়তে পারেন। তাঁদের ‘হোম ওয়ার্ড ’ ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। এখন এসব নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
[আরও পড়ুন: ‘আপনারা ঘরের ভিতর সব নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন’, সংসদে বিজেপিকে আক্রমণ মহুয়ার]
বৃহস্পতিবার কাঁথি-সহ রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের পুরসভাগুলিতে ভোট। ইতিমধ্যেই জারি হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি। ইতিমধ্যেই অধিকারীদের ‘গড়’ দখল করতে জোরকদমে নেমে পড়েছে তৃণমূল (TMC)। সুতরাং বিজেপির হাতে সময় বেশি নেই। যাকেই মুখ হিসাবে ভাবা হোক, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে গেরুয়া শিবিরকে।