ধীমান রায়, কাটোয়া: সরকারি চাকরিতে বড়সড় অনিয়মের হদিশ মিলল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে। একটি শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে নিয়োগ করা হয়েছিল বোনকে। আর সেখানে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে চাকরি করছিলেন দিদি। কাগজে কলমে ‘বোন’ এর বয়স এখন ৫৯ বছর। আর দিদির বয়স সত্তর ছুঁইছুঁই বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার ভাতার ব্লক প্রশাসন এই অনিয়ম ধরার পর এদিন এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। অভিযুক্ত ‘দিদি’ সঙ্গীতা ভট্টাচার্য এদিন বিডিও অফিসে এসেছিলেন। তার এই কীর্তির কথা জানাজানি হতেই তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। স্থানীয় কয়েকজন তাঁকে আটকে দেন।
জানা গিয়েছে, সাহেবগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের নুনাডাঙ্গা শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে কাগজেকলমে শিক্ষিকা হিসাবে রয়েছেন সুজাতা চট্টোপাধ্যায়। আর তার পরিবর্তে সুজাতাদেবীর হয়ে কাজ করছিলেন এবং বেতন পাচ্ছিলেন সঙ্গীতা ভট্টাচার্য। সঙ্গীতাদেবী সুজাতা চট্টোপাধ্যায়ের দিদি। তাঁর বাড়ি কাশীপুর গ্রামে। ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বাসুদেব যশ বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি ২০০৪ সালে ওই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে নিয়োগ করা হয়েছিল। সুজাতা চট্টোপাধ্যায় নামে এক মহিলাকে নিয়োগ করা হয়। এখনও কাগজেকলমে তিনিই কাজ করছেন। এতদিন বিষয়টি জানা ছিল না। এখন প্রশাসনিক তদন্তে ধরা পড়েছে আসলে সঙ্গীতা চট্টোপাধ্যায়ের নামে বেতন তুলে যাচ্ছেন সুজাতা ভট্টাচার্য। সিপিএম আমলেই এই অনিয়ম হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।”
[আরও পড়ুন: হাতিবাগানের কুণ্ডুবাড়ির পুজো প্রকৃতি ও মানব সভ্যতার মেলবন্ধন, মা এখানে ব্যাঘ্রবাহিনী]
ভাতারের বিডিও অরুন কুমার বিশ্বাস বলেন, “এখন অফিসিয়াল কাজকর্মে আপগ্রেডেশন চলছে। অনলাইনে নথিভুক্তকরণের সময় সাহেবগঞ্জ ১ নম্বর অঞ্চলের ওই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের কর্মীর তথ্যে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে একজনের নামে নিয়োগ করা হলেও চাকরি করে আসছিলেন অন্যজন। তাঁকে শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বিষয়টি আরও একবার খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে।”