shono
Advertisement

Breaking News

সঙ্গীর জন্য ঘুমের বারোটা বেজেছে? ‘স্লিপ ডিভোর্স’-এই সমাধান, জানেন কী সেটা?

'স্লিপ ডিভোর্স'-এর মতো পন্থায় হাঁটছেন বহু দম্পতি। আপনিও কি তাই?
Posted: 11:18 PM Mar 27, 2024Updated: 11:18 PM Mar 27, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেম আর বিয়ে এক নয়! প্রেম করাকালীন রাত জেগে কথা বলা, আর বিয়ের পর সেই মানুষটির সঙ্গে একই বিছানা ভাগ করে নেওয়ার অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। রসিয়ে গল্প করা, সারাদিনের সুখ-দুঃখ ফোনালাপে শেয়ার করার স্মৃতি শততই সুখের। কিন্তু অনেকেই রয়েছেন যাঁরা বিয়ের পর একছাদের তলায় থাকতে গিয়ে কিংবা একসঙ্গে রাত কাটাতে গিয়ে ভিন্ন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন।

Advertisement

আরেকটু খোলসা করে বলতে গেলে, সঙ্গীর পাশে শুয়ে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটার শিকার হন। ফলস্বরূপ সেই ঝগড়া গড়ায় মারাত্মক জায়গায়। সেক্ষেত্রে অনেক দম্পতিই এক অনন্য পন্থায় হাঁটেন। সেটা হল ‘স্লিপ ডিভোর্স’। এই ‘স্লিপ ডিভোর্স’ মানে কিন্তু একেবারে চিরতরে বিচ্ছেদ নয়। ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই! এটা রোজকার সংসারে অনেকটা শান্তির সহাবস্থানের মতো। ধরুন, আপনার সঙ্গীর ভয়ংকর নাক ডাকার অভ্যেস। কিংবা গায়ে পা তুলে দেওয়া বা বেশি জায়গা নিয়ে আপনাকে কোণঠাসা করে দেওয়ার মতো আরও অনেক ধরণের বদঅভ্যেস রয়েছে। তাই বলে তো আর ভালোবাসার মানুষটিকে ছেড়ে যাওয়া যায় না! তাই এক্ষেত্রে সমস্যার অন্যতম সমাধান ‘স্লিপ ডিভোর্স’।

[আরও পড়ুন: চরম গরমে ত্বকে আনবে দীপ্তি, তরমুজে সেরে ফেলুন রূপটান, রইল টিপস]

এই ডিভোর্স হচ্ছে, কোনও দম্পতি একছাদের তলায় থেকেও একসঙ্গে শুতে যান না। বরং আলাদা ঘরে ঘুমোন। কেউ বা আবার একই ঘরে আলাদা শোওয়ার ব্যবস্থা করেন। একেই বলা হয় ‘স্লিপ ডিভোর্স’। এই পন্থা কখনও কখনও কয়েক দিনের জন্য হয়। আবার বিয়ের বয়স খানিক বাড়লেও এই পন্থা অনেকে অবলম্বন করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আলাদা ঘরে ঘুমোলে যে সম্পর্ক ঠিক থাকবে না, এরকম ধারণা ভ্রান্ত। কিন্তু অনেক সময়েই দেখা যায়, সঙ্গীর সঙ্গে স্লিপ সাইকেল বা ঘুমনোর সময় বা ধরণ না মিললেই একে-অপরকে এড়িয়ে চলা শুরু করেন। যাতে সেই মান-অভিমান বা তিক্ততা যাতে বেশিদূর না গড়ায় সেই জন্যই মনোবিদরা বর্তমানে ‘স্লিপ ডিভোর্স’-এর নিদান দিয়ে থাকেন। তবে সাবধান! এর কারণে কিন্তু শারীরিক দূরত্ব আসতে পারে। তাতে সম্পর্কের চার্মও কমে যাওয়ার চান্স থাকে। সেক্ষেত্রে সম্পর্কের দিকে নজর দিন। সঙ্গীর উপর আস্থা বা বিশ্বাস এক্ষেত্রে খুব জরুরী। সঙ্গীকে আরও বেশি করে সময় দিন বা ভালোবাসুন। কারণ ব্যস্ত শিডিউলে সারাদিনে এই ঘুমের সময়টাই একে-অপরের কাছাকাছি আসা যায়। সেখানেও যদি বাঁধার সৃষ্টি হয়, তাহলে কিন্তু সাবধান হোন এখনই। প্রয়োজনে মনোবিদের পরামর্শ নিন।

[আরও পড়ুন: নিয়ম ভঙ্গের জের, ভারতের ২২ লক্ষের বেশি ভিডিও ডিলিট করল YouTube]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement