সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: খোদ বিজেপি বিধায়কের কার্যালয় দখল? দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুইয়ের বিধায়ক অফিস এবার দুষ্কৃতীদের টার্গেট। দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর হোস্টেল অ্যাভিনিউয়ের দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণচন্দ্র ঘোড়ুইয়ের বিধায়ক অফিসে বুধবার রাতে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। অফিসের কম্পিউটার, প্রিন্টার, নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। আলমারি ভেঙে মূল্যবান নথি ও শংসাপত্র নিয়েও পালায় দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ।
শুধু তাই নয়, বিধায়ক কার্যালয়ের সামনে তৃণমূলের পতাকাও লাগিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। বৃহস্পতিবার সকালে এই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে চলে আসেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুই ও বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বিজেপির নির্বাচনী ফ্লেক্স জঙ্গল ও ড্রেনে ফেলে দিয়ে পালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বলে দাবি বিজেপির। এরপরই ওই রাতেই মাত্র দুশো মিটারের মধ্যে থাকা ক্ষুদিরাম মাঠের কাছে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের বাইরের দরজা ভাঙার চেষ্টা দুষ্কৃতীরা। এই ক্ষেত্রেও অভিযোগের আঙুল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকেই। এখানেও আসেন বিজেপি বিধায়ক লক্ষন চন্দ্র ঘোড়ুই ও বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুইয়ের অভিযোগ, "তৃণমূল ভোটে জেতার পর থেকে সন্ত্রাসের আবহ তৈরী করেছে।
[আরও পড়ুন: ‘লকেটকে একহাঁড়ি দই পাঠাব’, হুগলির পদ্মবনে ঘাসফুল ফুটিয়ে সৌজন্য রচনার]
আজ এই ছবি সেটারই প্রমান। আগুন নিয়ে খেলছে তৃণমূল। আমার কম্পিউটার ও শংসাপত্র উদ্ধার না হলে মহকুমাশাসকের কাছে ধর্ণায় বসব।" মঙ্গলবার রাতে সিপিএমের পোলিং এজেন্ট হওয়ার অপরাধে দুই সিপিএম নেতার পরিবারের ওপর শাসক দলের আক্রমণ নেমে আসে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে বৃহস্পতিবার বিজেপির বিধায়ক ও বিজেপির পার্টি অফিসে দুষ্কৃতীদের তান্ডব। এই ক্ষেত্রেও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে। যদিও সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে পালটা দাবি জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়," ভোটে হেরে গিয়ে ভুলভাল বকছে বিজেপি সিপিএম। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে শাসকদলের উপর দায় চাপাচ্ছে। ভোটের পর বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব আরো প্রবল হয়েছে। এই সব তারই ফল।"