সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকালে উঠিয়া অনেকেই মনে মনে বলেন, আজ আর মনের সুখে খেয়ে ওজন কিছুতেই বাড়াবেন না। কিন্তু সূর্য ডোবার পালা আসলেই মনটা কেমন যেন অলস হয়ে ওঠে। অপরাধী মন তখন শুধু জিভের সুখ চায়। আর তাতেই বাড়ে বিপত্তি। শরীরে প্রবেশ করে অস্বাস্থ্যকর খাবার। ফল? ওজন বেড়ে যাওয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া। এভাবেই নানাবিধ অসুখের আস্তানা হয়ে ওঠে আপনার একমাত্র শরীর। লোভে পাপ আর পাপে মেদ যদি বাড়াতে না চান, তাহলে নৈশভোজের ক্ষেত্রে সামান্য কিছু নিয়ম মেনে চলুন।
১) যত বড় প্লেট হবে, তত বেশি খাবার ধরবে। তাই ডিনার প্লেটটি ছোটই রাখুন। আর তাতে এমন খাবার রাখুন যা মেদও বাড়াবে না আবার আপনার শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাবে।
২) সূর্য অস্ত গেলে তৈলাক্ত খাবার এক্কেবারে না। ভাজা ভুজির প্রেমের ফাঁদে একদম পা দেবেন, দিলেই বিপদ। একান্ত তেল ব্যবহার করতে হলে সামান্য অলিভ অয়েল বা ঘি ব্যবহার করতে পারেন।
[আরও পড়ুন: বড়দিনের কেক থেকে নলেন গুড়ের পিঠে, এক ফোনেই পৌঁছে দিচ্ছে পঞ্চায়েত দপ্তর]
৩) অনেকেই সন্ধ্যার খাবার এড়িয়ে যান। এমনটা একদম করবেন না। বরং একটু দেরি করেই সন্ধ্যার খাবার খেয়ে নেবেন। এতে রাতে খিদে কম পাবে। ফলে রাতে খাবার পরিমাণও কমে যাবে।
৪) নৈশভোজের ঠিক ৩০ মিনিট আগে এক গ্লাস জল খেয়ে নেবেন। এতে দু’টি উপকার পাবেন। এক, আপনার শরীরের আর্দ্রতার পরিমাণ বজায় থাকবে। দুই, ডিনারের সময় পেট আগে থেকেই কিছুটা ভরতি থাকবে।
৫) রাতের খাবারে বেশি পরিমাণ আলু রাখুন। গবেষকদের দাবি, অন্যান্য কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের তুলনায় আলুর পেট ভরানোর ক্ষমতা অনেক বেশি। আর আলু খেলে মেদ বাড়ে, এই ধারণাও ভুল।
৬) শোয়ার বেশ কিছুটা আগেই নৈশভোজ সেরে নিন। আর তা ডাইনিং টেবিলেই সেরে ফেলুন। কারণ মনযোগ দিয়ে খাবার না খেলে তা ভালভাবে হজম হয় না। হজম ভাল না হলে উপকারও পাবেন না।