সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফাদার্স ডে-তে বাবাকে খুশি করতে চেয়েছিলেন। তাই অনিচ্ছাসত্ত্বেও টাইটানিকের (Titanic) ধ্বংসাবশেষ ঘুরে দেখার সাবমেরিনে চড়েছিলেন। বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়েই সলিলসমাধি হল ১৯ বছরের যুবকের। বাবার সঙ্গেই সমুদ্রের অতলে তলিয়ে গেলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া তরুণ সুলেমান দাউদ (Suleman Dawood)। সাবমেরিন টাইটান ভেঙে মৃত্যু হয়েছে পাক ধনকুবের শাহজাদা দাউদ (Shehzada Dawood) ও তাঁর পুত্রের।
মার্কিন সময় বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ নৌসেনার তরফে জানানো হয়, আটলান্টিক মহাসাগরে (Atlantic Ocean) ভেঙে পড়েছে সাবমেরিন টাইটান। ডুবোজাহাজে থাকা ৫ যাত্রীর কেউই বেঁচে নেই। তাঁদের মৃতদেহ কবে পাওয়া যাবে, তাও এখনও জানা যাচ্ছে না। স্বামী-সন্তানকে হারিয়েও উদ্ধারকারীদের ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন শাহজাদার স্ত্রী। তবে মর্মান্তিক ঘটনার পরে মুখ খুলেছেন তরুণ সুলেমানের এক আত্মীয়া।
[আরও পড়ুন: মমতার পাশে পওয়ার-লালু-নীতীশ-কেজরিওয়াল! আসন বিন্যাসেই লুকিয়ে বিরোধী রসায়ন?]
আজমেহ দায়ুদ নামে ওই আত্মীয়া আসলে পাক ধনকুবের শাহজাদার বোন। তিনি জানিয়েছেন, “টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে একেবারেই আগ্রহী ছিল না সুলেমান। বরং সমুদ্রের গভীরে গিয়ে এই অভিযানের কথা শুনেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। তবে ফাদার্স ডে’র দিনই অভিযান শুরু হচ্ছে বলে শেষ পর্যন্ত সুলেমান নিমরাজি হয়। বাবার সঙ্গেই টাইটান সাবমেরিনে ওঠে ১৯ বছরের সুলেমান।”
তরুণ ভাইপোর মৃত্যুর কথা ভেবেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন আজমেহ। এখনও মানতে পারছেন না, তাঁর ভাইপো আর ফিরে আসবে না। প্রসঙ্গত, টাইটানের দুর্ঘটনা নিয়ে একাধিক সমালোচনা শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে এই সাবমেরিন, সেই ইঙ্গিত ছিল মার্কিন নৌসেনার কাছে, তা সত্ত্বেও উদ্ধারকাজে কেন এত দেরি হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একইসঙ্গে বাবা-ছেলের মৃত্যু হল টাইটানের দুর্ঘটনায়, তা নিয়ে বিষাদের ছায়া ওয়াকিবহাল মহলে।