সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন হতে দেখেছে দেশ। বাকি রাজ্যগুলিতে ভোটপর্ব সাঙ্গ হলেও পশ্চিমবঙ্গে এখনও বেশ কয়েক দফা ভোট বাকি রয়েছে। ভোটের প্রচারসভার ভিড়ও কি বাড়তে থাকা করোনা গ্রাফের অন্যতম ফ্যাক্টর হয়ে উঠছে? এই প্রশ্ন আগেও উঠেছে। শনিবার সরাসরি সেই প্রসঙ্গ উঠে এল কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) মুখে। বর্ষীয়ান নেত্রী জানালেন, এর দায় সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকেই নিতে হবে। তার মধ্যে তাঁদের দল কংগ্রেসও থাকবে!
এভাবেই সমস্ত কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এক ভারচুয়াল বৈঠকে আত্মসমালোচনাও করতে দেখা গেল সোনিয়াকে। সেই সঙ্গে দেশে করোনা মোকাবিলায় মোদি সরকারের ‘ব্যর্থতা’র কড়া সমালোচনাও করলেন তিনি। তাঁর কথায়, ”মোদি সরকার কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা বাইরে টিকা রপ্তানি করার ফলে দেশে টিকার ঘাটতি দেখা গিয়েছে। তবে নির্বাচনের সভা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জমায়েতের কারণে দেশে যেভাবে করোনা বেড়েছে, তার জন্য আমরা সকলেই কমবেশি দায়ী। এই দায়িত্বটা আমাদের সকলকেই নিতে হবে। এবং নিজেদের স্বার্থের ঊর্ধ্বে দেশকে রাখতে হবে।”
[আরও পড়ুন: টিকা নেওয়ার পরও মৃত্যু ১৮০ জনের! বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় বিশেষ নজর কেন্দ্রের]
প্রসঙ্গত, এদিনের বৈঠকে সোনিয়া ছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যে কংগ্রেস নেতারা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের অন্যতম রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং প্রমুখরা।
উল্লেখ্য, দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষের গণ্ডি পেরিয়েছিল সপ্তাহ দেড়েক আগেই। এবার সেই সংখ্যাটা এগোচ্ছে দেড় লক্ষের দিকে। স্রেফ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত ১ লক্ষ ৪৫ হাজার। রেকর্ড গড়েছে মৃতের সংখ্যাও। একই সঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেসও। এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণকে অসীম গুরুত্ব দিচ্ছে সরকারও। কিন্তু মহারাষ্ট্র, দিল্লি-সহ বহু রাজ্যেই অভিযোগ, করোনা টিকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে সেখানে। পর্যাপ্ত জোগান থাকছে না। এমন অভিযোগকে অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।