সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রিকেটের এক অনুষ্ঠানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, দলের জন্যই ক্যাপ্টেন। ক্যাপ্টেনের জন্য কোনও দল নয়। শুধু মুখে বলেননি, নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারেও এ কথা মেনেছিলেন তিনি। আর তাই হয়ে উঠতে পেরেছিলেন ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক। সফল হয়েছিলেন দেশকে বিশ্বমঞ্চেই ফাইনালে পৌঁছে দিতে। আর তাঁর আত্মত্যাগ, কৃতিত্বের কিছু অজানা তথ্য জানালেন এককালের সতীর্থ বীরেন্দ্র শেহবাগ। বললেন, তাঁর ও মহেন্দ্র সিং ধোনির অনবদ্য ক্রিকেটার হয়ে ওঠার নেপথ্য কারিগর ওই একজনই। প্রিয় দাদা। তাঁর দৃঢ় সিদ্ধান্ত আর আত্মত্যাগের জন্যই দেশ মাহি, বীরুর মতো ব্যাটসম্যান পেয়েছে।
[মেঘ মাথায় নিয়েই আজ শহরে ফুটবল পুজো]
একটি টিভি চ্যানেলে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে শেহবাগ বলেন, “আমাকে আর ধোনিকে সুযোগ করে দিতে একাধিকবার নিজের ব্যাটিং অর্ডার বদলেছেন সৌরভ। শচীন-সৌরভ সুপারহিট ওপেনিং জুটির ব্যাখ্যা ক্রিকেটপ্রেমীদের আলাদা করে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অথচ আমায় ওপেনিংয়ের জন্য জায়গা করে দিতে নিজে তিন নম্বরে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দাদা। এমন আত্মত্যাগ ক’জন নেতাই বা করতে পারেন। তারপর ছেড়ে দেন তিন নম্বর জায়গাও। উদ্দেশ্য, ওয়ান ডাউনে ধোনিকে ব্যাট করানো। তিন-চারটি ম্যাচে ধোনিকে তিন নম্বরে নামিয়ে দেখে নিয়েছিলেন। চূড়ান্ত ফর্মে থাকার সময়ও নিজেকে নিয়ে ভাবার আগে দলের কথা চিন্তা করেছিলেন সৌরভ। আর সেখানেই হয়ে উঠেছিলেন আদর্শ নেতা।”
[বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হাসতে হাসতে ক্যাঙারু বধ বিরাটদের]
ক্যাপ্টেন্সির সময় চিরকালই নতুনদের সুযোগ করে দিতে ভালবাসতেন প্রিন্স অফ ক্যালকাটা। এ কথা আজ আর কারও অজানা নেই। ইশান্ত শর্মা থেকে হরভজন সিং, দাদার হাত ধরেই অভিষেক ঘটিয়েছিলেন পরবর্তীকালে তারকা হয়ে ওঠা এই ক্রিকেটাররা। আর তাই ধোনির উত্থানের কৃতিত্ব সৌরভকেই দিচ্ছেন বীরু। দাদার পাশাপাশি আরও এক অধিনায়কের ভূমিকার কথাও অবশ্য এড়িয়ে যাননি। রাহুল দ্রাবিড়। শেহবাগ বলছেন, ২০০৫ সালে মিস্টার ডিপেন্ডেবল নেতা থাকাকালীনই সেরা ফিনিশার হয়ে উঠতে পেরেছিলেন ধোনি। যুবরাজের সঙ্গে ধোনির দুর্দান্ত সব পার্টনারশিপের কারিগর কিন্তু ছিলেন দ্রাবিড়ই। ২০০৮ সালে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটকে যে উচ্চতায় তিনি পৌঁছে দিয়ে গিয়েছেন, তার জন্য দাদার কাছে আজও কৃতজ্ঞ শেহবাগ।
The post ‘সৌরভের আত্মত্যাগের জন্যই ধোনি আজ এত বড়মাপের ক্রিকেটার’ appeared first on Sangbad Pratidin.