নিরুফা খাতুন: একজন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি। তাঁর বিচার চলছে। শনিবার সেই কারণে আলিপুর আদালতে (Alipore Court) গিয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একই আদালতে বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় হাজির প্রাক্তন মেয়র ও মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)। সেই সময় আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)গিয়েছেন শুনে শোভনবাবু লক আপের দিকে যান দীর্ঘদিনের সতীর্থের সঙ্গে দেখা করতে। তবে সামনাসামনি কথা হয়নি তাঁদের। পার্থর লক আপের কাছে তাঁকে যেতে বাধা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তখন দূর থেকেই আকারে-ইঙ্গিতে ভাব বিনিময় হয় পার্থ-শোভনের। বেরিয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সম্পর্কে শোভনবাবুর মন্তব্য, ”পার্থদা পরিস্থিতির শিকার।”
বেহালা পূর্ব আর বেহালা পশ্চিম। মহানগরের দুই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক (MLA) ছিলেন দু’জন। বেহালা পূর্বে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বেহালা পশ্চিমে শোভন চট্টোপাধ্যায়। দু’জনেই ছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক। আর দলটাও দু’জনে একসঙ্গেই করেছেন। উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। শনিবার বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় শোভন চট্টোপাধ্যায় গিয়েছিলেন আলিপুর জেলে। সঙ্গে ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নিজের কাজ হয়ে যাওয়ার পর শোভনবাবু জানতে পারেন, আলিপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আর তা শুনেই তিনি পার্থবাবুর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন।
[আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের পদ থেকে ইস্তফা? কী বললেন স্নেহমঞ্জু বসু?]
বাইরে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপেক্ষা করতে বলে কোর্ট লক আপের দিকে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে আটকান। ফলে খুব কাছাকাছি যেতে পারেননি। দূর থেকেই পার্থর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন প্রাক্তন মেয়র। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ”উনি পরিস্থিতির শিকার। বিচার চলছে। তবে সাধারণ মানুষও বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান। যতটুকু দেখা যায়, সেটাই কি সব?” এদিনও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন খারিজ হয়। ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।