সুব্রত বিশ্বাস: ‘ক্লিনলিনেস ইজ নেক্সট টু গডলিনেস’। লোকাল ট্রেনের নাম এমনই হবে। ১ অক্টোবর হাওড়া (Howrah Station) থেকে ব্যান্ডেলের মধ্যে চলবে এমনই লোকাল। প্রতিটি স্টেশনে দাঁড়াবে। ট্রেনের গায়ে লেপটে থাকবে রং বেরংয়ের পোস্টার। যাতে উল্লেখ করা থাকবে মণীষীদের বাণী থেকে সমাজ সচেতনতা। পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার মতো আপ্তবাক্য।
আর কী কী দেখা যাবে ট্রেনের দেওয়ালে? ছবি, কার্টুন তো থাকবেই, থাকবে সমাজ সচেতনতামূলক নানা বার্তা। ট্রেনটি চলবে সর্বসাধারণের জন্য। তবে টাইম টেবিলের নির্ধারিত ট্রেন নয়, ‘বিশেষ’ এই ট্রেনে থাকবেন রেলের আধিকারিক এবং কর্মীরা। যাত্রীরাও অবশ্যই উঠতে পারবেন। সঙ্গে থাকবে ঝুড়ি, কোদাল, ঝাঁটা ইত্যাদি সরঞ্জামও। হাওড়া থেকে ব্যান্ডেলের মধ্যে প্রতিটি স্টেশনে দাঁড়াবে এই ট্রেনটি। আধিকারিকরা ট্রেন থেকে নেমে যাত্রীদের ডাকবেন ‘শ্রমদান’ করতে। স্টেশনের পরিচ্ছন্নতা রক্ষার জন্য সকলে মিলে সাফাই করবে স্টেশনগুলি।
[আরও পড়ুন: লোকসভায় অসমেও লড়বে তৃণমূল, মমতা-অভিষেককে আমন্ত্রণ রাজ্য সভাপতি রিপুনের]
হাওড়ার ডিআরএম সঞ্জীব কুমার জানান, ওই দিন রেলের স্বচ্ছতা অভিযানে কিছুটা অভিনবত্ব আনা হয়েছে। ট্রেনটি হাওড়া থেকে ব্যান্ডেলের মধ্যে প্রতিটি স্টেশনে দাঁড়াবে। রেলকর্মীদের সঙ্গে যাত্রীরাও একই সঙ্গে শ্রমদান করবেন। কারণ স্টেশনটি তাঁদেরও। তাই স্বচ্ছতা রক্ষার দায়বদ্ধতা তাঁদেরও। রয়েছে পরিবেশ স্বচ্ছ রাখার অধিকার এবং সচেতনতার বার্তা। সেই জন্যই এই বিশেষ ট্রেন চলবে ওই দিন থেকে।