বাংলাদেশ: ২৬৫/৮ (শাকিব-৮০, হৃদয়-৫৪, শার্দূল-৬৫/৩)
ভারত: ২৫৯/১০ (শুভমান-১২১, অক্ষর-৪২)
৬ রানে জয়ী বাংলাদেশ
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এশিয়া কাপ থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন শাকিব আল হাসানরা। ভারতের কাছে তাই শুক্রবারের ম্যাচ নিয়মরক্ষার হলেও বাংলাদেশের কাছে তা ছিল সম্মানরক্ষার। তাই নিজেদের সবটুকু উজার করে দিয়েছিলেন মুস্তাফিজুররা। তারই পুরস্কার মিলল। বিদায়ী ম্যাচে বাংলার বাঘের মতোই মাঠ ছাড়লেন শাকিবরা। জলে গেল শুভমান গিলের দুরন্ত শতরান।
চলতি টুর্নামেন্টের ফাইনালের টিকিট আগেই পাকা হয়ে গিয়েছিল রোহিত শর্মাদের। তবে ভারতীয় শিবিরের কাছে এই ম্যাচের গুরুত্বও কম ছিল না। কারণ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে বেঞ্চের তারকাদেরও একবার দেখে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ছিল এদিন। আর সেই লক্ষ্যেই দলে পাঁচটি বদল ঘটান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বিরাট কোহলি, জশপ্রীত বুমরাহ, কুলদীপ যাদব, মহম্মদ সিরাজ এবং হার্দিক পাণ্ডিয়াকে বিশ্রামে পাঠানো হয়। পরিবর্তে প্রথম একাদশে ঢুকে পড়েন তিলক বর্মা, সূর্যকুমার যাদব, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, মহম্মদ শামি এবং শার্দূল ঠাকুর। কিন্তু বাংলাদেশি বোলারদের দাপটে অধরাই থেকে গেল জয়।
[আরও পড়ুন: নাসিম শাহকে ছাড়াই ভারতের বিরুদ্ধে নামতে হবে! বড় আপডেট দিলেন বাবর আজম]
এদিন টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে বল করতে পাঠান রোহিত। ভারতীয় পেসাররা টপ অর্ডারে ধস নামালেও ৮০ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন শাকিব। স্কোরবোর্ডে ৫৪ রান যোগ করেন হৃদয়। ভারতের সামনে ২৬৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় বাংলাদেশ। যা তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েও দলকে জয় এনে দিতে ব্যর্থ শুভমন।
উলটো দিকে যখন একের পর এক ব্যাটার ব্যর্থ হয়ে প্য়াভিলিয়নে ফিরছেন, তখন একাহাতে গড় রক্ষা করেন শুভমান। এদিন শতরান করে শচীন তেণ্ডুলকর এবং বিরাট কোহলির রেকর্ডও ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। ওয়ানডে ফরম্যাটে এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে এক হাজার রান অতিক্রম করে গেলেন তিনি। ১৩তম ভারতীয় হিসেবে এই নজির গড়েন গিল। তরুণ তুর্কির ছাড়া এদিন প্রায় শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান অক্ষর প্যাটেল। কিন্তু মুস্তাফিজুর (৫০/৩), মেহেদি হাসান (৫০/২) এবং এই ম্যাচেই অভিষেক ঘটানো তানজিম হাসান শাকিবের (৩২/২) দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২৫৯ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।
১১ বছর আগে এশিয়া কাপে ঘরের মাঠে ভারতকে ধরাশায়ী করেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন শচীন। সেদিনও জয় অধরা ছিল। এদিন তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে গিলেরও যেন আক্ষেপ থেকে গেল মনে মনে। তবে সেসব হতাশা ঝেড়ে ফেলে রবিবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ফাইনালকেই পাখির চোখ করছে টিম ইন্ডিয়া।