স্টাফ রিপোর্টার: আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বে মোট একডজন ম্যাচ খেলবে ইস্টবেঙ্গল। এরমধ্যে সাতটিই হবে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে। দু’টো খেলে ফেলেছেন ক্লেটন সিলভরা। মাসের বাকি আড়াই সপ্তাহে খেলতে হবে আরও পাঁচটি ম্যাচ। যারমধ্যে জামদেশপুর এফসি, হায়দরাবাদ এফসি এবং ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচও রয়েছে।
এই ঠাসা ক্রীড়াসূচিই চিন্তা বাড়াচ্ছে লাল-হলুদের স্প্যানিশ হেডস্যর কার্লেস কুয়াদ্রাতের। কারণ চোটের জন্য অন্তত একমাস মাঠের বাইরে কাটাতে হবে মিডফিল্ডার সল ক্রেসপোকে। তাঁর অনুপস্থিতিতে কতটা অগোছালো হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল মাঝমাঠ, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড ম্যাচে। পরপর ম্যাচ খেলার ধকল সামলাতে গিয়ে চোটের তালিকায় আরও ফুটবলারের নাম উঠতে পারে, আশঙ্কা কুয়াদ্রাতের।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রের ভরসা নয়, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের টাকা দেবে রাজ্যই, দেবের ‘আবদারে’ ঘোষণা মমতার]
শনিবার ম্যাচ শেষে বলে গেলেন, “আমরা তো ফেব্রুয়ারিতে লিগের দ্বিতীয় পর্বের অর্ধেকটা খেলে ফেলছি। গত অক্টোবরে আমরা মাত্র দু’টো ম্যাচ খেলেছি। তখন দলে সবাই ফিট ছিল, ফর্মে ছিল। কিন্তু এখন এক মাসে সাতটা ম্যাচ খেলতে হবে। তারমধ্যে অধিকাংশই অ্যাওয়ে ম্যাচ। আসলে ক্রীড়াসূচি এভাবেই করা হয়েছে। সেটা বদল সম্ভব নয়। তাই এসব নিয়ে ভেবে লাভ নেই। কিন্তু এভাবে টানা ম্যাচ খেললে ফুটবলারদের চোট হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।” নর্থ-ইস্টের বিরুদ্ধে খেলে রবিবার দুপুরে শহরে ফিরেছে ইস্টবেঙ্গল। সময়ের অভাবে গুয়াহাটিতে রিকভারি সেশন হয়নি মহেশ সিং, হিজাজি মাহেরদের।
শনিবারের ম্যাচে শেষবেলায় নতুন দুই বিদেশি ভিক্টর ভাসকুয়েজ ও ফেলিসিও ব্রাউন ফোর্বসকে মাঠে নামান কুয়াদ্রাত। প্রথমজন মূল দলের সঙ্গে একটা সেশন অনুশীলন করেছেন, দ্বিতীয়জন তো সেই সুযোগটাও পাননি। তবে তাঁদের খেলায় সন্তুষ্ট কুয়াদ্রাতের বক্তব্য, “ওরা সবে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। ফেলিসিও তো আজ গোল করল। ভিক্টরও বুঝিয়েছে ও কেমন ফুটবলার। তবে ওদের সময় দিতে হবে। ওরা পুরো ম্যাচ খেলার মতো জায়গায় পৌঁছে গেলে সমস্যা মিটে যাবে।” কিন্তু দলের সঙ্গে তাঁদের ফিট করার সময়টাই নেই কুয়াদ্রাতের হাতে। কারণ মঙ্গলবার ঘরের মাঠে মুম্বই সিটি এফসি ম্যাচের আগে একটাই প্র্যাকটিস সেশন আছে ইস্টবেঙ্গলের হাতে। কুয়াদ্রাতের সমস্যা বাড়িয়ে সেই ম্যাচে নেই ক্লেটন। ফলে শুরু থেকে ফেলিসিওকে খেলানো ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই তাঁর কাছে। তবে সেই ম্যাচে ফিরছেন শৌভিক চক্রবর্তী। সেই খবর নিশ্চিতভাবেই স্বস্তি দেবে লাল-হলুদ কোচকে।