সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ১০ মার্চ আইএসএলের (ISL 10) ফিরতি ডার্বি। যা নিয়ে পারদ চড়তে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, ১০ তারিখই তৃণমূলের ব্রিগেড। স্বাভাবিক ভাবেই ব্রিগেডের ভিড় সামলাতে প্রচুর পুলিশ মোতেয়েন করতে হবে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে, একই দিনে শহরের এত বড় দুই মহাযজ্ঞের আয়োজন কি সম্ভব? তাহলে কি ব্রিগেডের সঙ্গে কলকাতা থেকে ডার্বি (Kolkata Derby) সরে যেতে চলেছে?
১০ মার্চ সন্ধ্যার সাড়ে ৭টায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)-মোহনবাগানের (Mohun Bagan) মর্যাদার বড় ম্যাচ। দুই দলই ছন্দে থাকায় ফিরতি ডার্বি ঘিরে সমর্থকদের উৎসাহ তুঙ্গে। সেদিন যে যুবভারতীতে সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়বে, তা আন্দাজ করাই যায়। কিন্তু ব্রিগেড থাকায় ডার্বিতে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ফলে দুই প্রধানের সমর্থকদের মনের মধ্যে স্টেডিয়ামে গিয়ে ‘বড় ম্যাচ’ দেখা নিয়ে এখন থেকেই তৈরি হয়েছে তীব্র অনিশ্চয়তা। সূত্রের খবর, ব্রিগেডের জন্য অন্য রাজ্যে সরতেও পারে মেগা ডার্বি আয়োজন করা হতে পারে।
[আরও পড়ুন: সামনে শুধু গাভাসকর, দ্রাবিড়কে টপকে কোহলির কোন ‘বিরাট’ রেকর্ড ছুঁলেন যশস্বী?]
এর আগেও গত বছর ডার্বি স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুসারে লক্ষ্মী পুজোর দিন ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উৎসবের মাঝে পুলিশ দেওয়া সম্ভব না জানিয়েছিল ক্রীড়া দপ্তর। সেই কারণেই শেষমেশ ম্যাচ ওই দিন বাতিল করে দেওয়া হয়। এর পর সেই ডার্বি গত ৩ ফেব্রুয়ারি আয়োজন করা হয়েছিল।
তবে ২৮ তারিখের বদলে ডার্বি কবে আয়োজন করা হবে, সেই বিষয়ে তখন কিছুই জানানো হয়নি। শুধু ডার্বি নয়, ইস্টবেঙ্গল বনাম গোয়া ম্যাচ গত দুর্গাপুজোর সপ্তমীর দিন ছিল। সেই ম্যাচেরও স্থান পরিবর্তন করা হয়েছিল। ইস্টবেঙ্গল বনাম গোয়া ম্যাচ কলকাতার বদলে ভুবনেশ্বরে আয়োজন করা হয়। ফলে উৎসবের মরশুমে শুধু ক্রিকেট বিশ্বকাপের ম্যাচ ছাড়া কোনও ম্যাচ কলকাতায় আয়োজন করা হয়নি। এবার তেমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।