ভারত: ১৯৮-৮ (হার্দিক ৫১, সূর্যকুমার ৩৯, মইন ২-২৬)
ইংল্যান্ড: ১৪৮ (মইন ৩৬, হার্দিক ৪-৩৩, চাহাল ২-৩২)
ভারত ৫০ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জয়, জয়, জয়, জয়, জয়, জয়, জয়, জয়, জয়, জয়, জয়, জয়, জয়। টি-২০ অধিনায়ক হিসাবে এটাই রোহিত শর্মার রেকর্ড। নিয়মিত অধিনায়ক হিসাবে এখনও পর্যন্ত ১৩টি টি-২০ খেলেছেন রোহিত। আর সবকটিতেই জয় পেয়েছে ভারত। এবং অধিকাংশ ম্যাচেই সেই জয় ছিল অনায়াস। যেমন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অধিনায়ক হিসাবে তাঁর প্রত্যাবর্তনেই ভারতীয় দল যেন অন্য রূপ পেল। বিশ্বের অন্যতম সেরা দলও যেন পাত্তা পেল না। এই ক্যারিশ্মার জন্যই বোধ হয় বিশ্বের একমাত্র অধিনায়ক হিসাবে টানা ১৩ ম্যাচে জয়ের রেকর্ড গড়লেন তিনি। এদিনের জয়ের প্রধান কারিগর অবশ্য রোহিত নন। সেটা হার্দিক পাণ্ডিয়া। রোহিতের সংসারে প্রত্যাবর্তন করেই মনে রাখার মতো পারফর্ম করলেন হার্দিক।
এক বছর আগে আরব আমিরশাহী থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিপর্যয়ের পর যে ভারতীয় ক্রিকেটারের কপালে সবচেয়ে ‘লাঞ্ছনা’ জুটেছিল, তাঁর নাম হার্দিক পাণ্ডিয়া। চোটের কারণে তখন বল করতে পারতেন না ভারতীয় অলরাউন্ডার। আদৌ কোনও দিন আর বোলিং করতে পারবেন কি না, জানতেন না। সেই বিশ্বকাপের পর ভারতীয় টিম থেকে বাদও পড়ে যান হার্দিক। ভারতীয় টিমও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেয়, যত দিন না বরোদা অলরাউন্ডার বোলিং করছেন, তত দিন তাঁকে আর ভাবা হবে না। শুধু ব্যাটার হার্দিককে টিমের দরকার নেই।
[আরও পড়ুন: সবার অলক্ষ্যে প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন ‘স্বপ্নের নায়ক’, ধোনির জন্মদিনে স্মৃতিচারণায় ‘সুপারফ্যান’]
আর আজ? আজ আর একটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ক’মাস আগে? ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যাটে-বলে হার্দিক যে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স উপহার দিলেন এ দিন, যে ভাবে একার হাতে ভারতকে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিতিয়ে দিলেন, তার পর মনে হয় না তাঁকে ছাড়া বিশ্বকাপের টিম আর ভাবা সম্ভব বলে। প্রথমে ৩৩ বলে ৫১। তার পর চার ওভার বল করে ৩৩ রান দিয়ে চার উইকেট! গত আইপিএলে অধিনায়ক হার্দিকের আবির্ভাব দিয়ে প্রত্যাবর্তনের হার্দিককে দেখেছিল বিশ্ব। এ বার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও পুরনো হার্দিককে ফিরতে দেখা গেল এ দিন।
এ দিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। অধিনায়ক রোহিত শর্মা এ দিন ফিরলেন কোভিড সারিয়ে। তিনি ১৪ বলে ২৪ করে যান। কিছুটা রান পান সূর্যকুমার যাদব (৩৯) এবং দীপক হুডা (৩৩)। আর পরে হার্দিক নেমে ঝড় তুলে দেন। ১৫৪ স্ট্রাইক রেট রেখে ব্যাট করে যান তিনি। কুড়ি ওভারে ১৯৮-৮ এ দিন তোলে ভারত। যদিও ভারতের ইনিংসের ফিনিশিংটা আরেকটু ভাল করা উচিত ছিল। শেষদিকে পরপর উইকেট না খোয়ালে সহজেই ২০০ রান টপকে যেতে পারত রোহিতের টিম ইন্ডিয়া।
[আরও পড়ুন: জন্মদিনে বিদেশে থেকেও মন কলকাতায়, নিজেকে নিয়ে তথ্যচিত্র লন্ডনে বসেই দেখবেন সৌরভ]
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পরের পর উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। ৩৩ রানের মধ্যে চার উইকেট চলে যায় তাদের। অধিনায়ক জস বাটলারকে যে ইনসুইঙ্গারে প্যাভিলিয়নে ফেরালেন তাতে মনে হতেই পারে পুরনো ভুবি যেন ফিরে আসছেন। বাটলারের সেই উইকেটই যেন টেমপ্লেট সেট করে দিয়েছিল। জেসন রয় (৪), ডেভিড মালান (২১) কেউই আর রান পাননি। কিছুটা রান করেন হ্যারি ব্রুক (২৮) এবং মইন আলি (৩৬)। হার্দিক ছাড়া দু’টো উইকেট পেয়েছেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ইংল্যান্ড শেষ হয়ে যায় ১৪৮ রানে।