সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ১০ মার্চ আইএসএলের (ISL 10) ফিরতি ডার্বি। যা নিয়ে পারদ চড়তে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। আবার ১০ তারিখই তৃণমূলের ব্রিগেড। স্বাভাবিক ভাবেই ব্রিগেডের ভিড় সামলাতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। আর তাই বিধাননগর পুলিশের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, ১০ মার্চ ডার্বির জন্য নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে সেদিন ডার্বি আয়োজন অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। তবে এখানেই উঠছে প্রশ্ন, ১০ মার্চ ডার্বি আয়োজন হবে, সেটা অনেক আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। তবুও ব্রিগেডের জন্য শেষ পর্যন্ত ডার্বি আয়োজনের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হল বিধাননগর পুলিশ।
আজ, শুক্রবার বিধাননগর পুলিশের সঙ্গে বৈঠক ছিল আয়োজক ইস্টবেঙ্গলের। শোনা যাচ্ছে সেই সভাতেই লাল-হলুদ কর্তাদের পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও ভাবেই ৯ কিংবা ১০ মার্চ ডার্বির মতো বড় ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব নয়। যেখানে বিপুল জনতা মাঠে হাজির থাকবেন। পুলিশের তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, ১০ মার্চ রবিবারের বদলে সোমবার, ১১ মার্চ ডার্বি আয়োজন করা যেতে পারে।
[আরও পড়ুন: ৩৪ বছরের কোন পুরনো রেকর্ড ভাঙার অপেক্ষায় যশস্বী? জানলে চমকে উঠবেন]
কিন্তু ডার্বির মতো উত্তেজক ম্যাচ এফএসডিএল উইক-এন্ডেই চায়। ফলে ১১ মার্চ, সোমবার কোনও ভাবেই ইস্ট-মোহন ম্যাচ আয়োজন করতে রাজি হবে না। এদিকে আবার ১৩ মার্চ মোহনবাগানের ম্যাচ রয়েছে আইএসএলে। এবার সেক্ষেত্রে ১০ মার্চের মেগা ডার্বি কলকাতা থেকে সরে অন্য রাজ্যে আয়োজন করা যায় কি না সেটাই দেখার।
১০ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)-মোহনবাগানের (Mohun Bagan) মর্যাদার বড় ম্যাচ। দুই দলই ছন্দে থাকায় ফিরতি ডার্বি ঘিরে সমর্থকদের উৎসাহ তুঙ্গে। সেদিন যে যুবভারতীতে সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়বে, তা আন্দাজ করাই যায়। কিন্তু ব্রিগেড থাকায় ডার্বিতে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিলই। ফলে দুই প্রধানের সমর্থকদের মনের মধ্যে স্টেডিয়ামে গিয়ে ‘বড় ম্যাচ’ দেখা নিয়ে এখন থেকেই তৈরি হয়েছিল তীব্র অনিশ্চয়তা। এখন শোনা যাচ্ছে ১০ মার্চ ডার্বি আয়োজন করা সম্ভব নয়। সূত্রের খবর, ব্রিগেডের জন্য অন্য রাজ্যে সরতেও পারে মেগা ডার্বি আয়োজন করা হতে পারে।
এর আগেও গত বছর ডার্বি স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুসারে লক্ষ্মী পুজোর দিন ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উৎসবের মাঝে পুলিশ দেওয়া সম্ভব না জানিয়েছিল ক্রীড়া দপ্তর। সেই কারণেই শেষমেশ ম্যাচ ওই দিন বাতিল করে দেওয়া হয়। এর পর সেই ডার্বি গত ৩ ফেব্রুয়ারি আয়োজন করা হয়েছিল।
শুধু ডার্বি নয়, ইস্টবেঙ্গল বনাম গোয়া ম্যাচ গত দুর্গাপুজোর সপ্তমীর দিন ছিল। সেই ম্যাচেরও স্থান পরিবর্তন করা হয়েছিল। কলকাতার বদলে ভুবনেশ্বরে আয়োজন করা হয় সেই ম্যাচে। এবারও তেমনই পরিস্থিতি তৈরি হল।