স্টাফ রিপোর্টার: চলতি আইএসএলের (ISL 2023-24) লিগের শেষ পর্বে এসে সব কোচের মুখেই শোনা যায় একটা কথা, ‘আমাদের কাছে এখন সব ম্যাচই ফাইনাল!’ সে প্রথম ছয়ে ঢোকার দৌড়ে থাকে ইস্টবেঙ্গল হোক বা চ্যাম্পিয়নশিপের দাবিদার ওড়িশা এফসি, একসুর শোনা গিয়েছে কার্লেস কুয়াদ্রাত, সের্জিও লোবেরার মতো একদা আইএসএল জয়ী কোচের মুখে।
এখানেই ব্যতিক্রম আরেক প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস (Antonio Lopez Habas)। তাঁর দল মোহনবাগানও (Mohun Bagan) প্রবলভাবে রয়েছে লিগ শিল্ড জয়ের দৌড়ে। বার দুয়েক আইএসএল ট্রফি জিতলেও লিগ পর্যায়ে সেরা হওয়ার স্বাদ পাননি হাবাস। এবার সেই স্বাদ পাওয়া আরও বেশি জরুরি তাঁর জন্য। কারণ তবেই পাওয়া যাবে এএফসি-র প্রতিযোগিতায় খেলার ছাড়পত্র।
[আরও পড়ুন: ম্যাচ চলাকালীনই পয়েন্ট কাটার হুমকি? কে দিল? মহামেডান-টাউন ক্লাবের ‘গড়াপেটা’ কাণ্ডে উঠছে প্রশ্ন]
কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য সব ম্যাচকে ফাইনাল হিসাবে দেখার চেনা রাস্তায় হাঁটতে নারাজ তিনি। জামশেদপুর এফসির (Jamshedpur FC) মুখোমুখি হওয়ার আগে মোহনবাগান কোচ বলে গেলেন, “আমি এখনই সব ম্যাচকে ফাইনাল হিসাবে দেখছি না। যে ম্যাচটায় ফাইনাল খেলব, সেটাকেই ফাইনাল হিসাবে দেখব।” আসলে দীর্ঘদিন পর বেশ খোলামেলা পরিবেশ সবুজ-মেরুনের অন্দরে। লিগে হারের হ্যাটট্রিক, সুপার কাপে ব্যর্থতার অন্ধকার কাটিয়ে ফের ঝলমলে হয়েছে দিমিত্রি পেত্রাতোস (Dimitri Petratos), শুভাশিস বসুদের (Subhasish Bose) সংসার। শেষ ম্যাচে ওড়িশার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করলেও লিগ টেবলে সুবিধাজনক অবস্থানেই আছে দল। তাই এখন থেকেই সব ম্যাচকে ফাইনালের গুরুত্ব দিয়ে সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের চাপ বাড়াতে নারাজ কোচ হাবাস।
ঘরের মাঠে জামশেদপুর ম্যাচ হাবাসের কাছে ডার্বির মহড়া। কারণ ১০ মার্চের ডার্বির আগে এটাই শেষ ম্যাচ মোহনবাগানের। তবে ডার্বি (Kolkata Derby) নিয়ে এখনই ভাবছেন না হাবাস। বরং মনযোগের পুরোটাই খালিদ জামিলের দলের বিরুদ্ধে। বলছিলেন, “ডার্বি সমর্থকদের কাছে আবেগের ম্যাচ। তবে আমার কাছে সব ম্যাচের গুরুত্ব একই। কারণ জিততে পারলে একটা ম্যাচ থেকে সর্বোচ্চ ৩ পয়েন্টই পাওয়া যায়। জামশেদপুরকে হারালে যত পয়েন্ট পাব, ডার্বি জিতলেও তত পয়েন্টই পাব। তাই এখন থেকেই ডার্বি নিয়ে বেশি ভেবে লাভ নেই। আর জামশেদপুর ভালো দল। খালিদ ভালো কোচ। নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডে দারুণ কাজ করেছিল ও।”
শুক্রবার ঘরের মাঠে নামার আগে ব্রেন্ডন হামিলের ফিট হওয়াটা স্বস্তির খবর হাবাসের কাছে। নিজেই জানালেন, ম্যাচের স্কোয়াডে রাখবেন অজি ডিফেন্ডারকে। তবে তারকা মিডিও সাহাল আবদুল সামাদের হঠাৎ চোটে ভাবনা বেড়েছে মোহনবাগানে। কুঁচকির চোটে এদিনও অনুশীলন করেননি তিনি। মাঠ ছাড়ার আগে বলে গেলেন, তাঁর খেলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন কোচ। আর হাবাস বললেন, “সাহালকে খেলানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব ম্যাচের দিন সকালে, ফিটনেস টেস্টের পর।”
আজ আইএসএলে
মোহনবাগান বনাম জামশেদপুর
যুবভারতী, সন্ধ্যা ৭.৩০, স্পোর্টস ১৮