স্টাফ রিপোর্টার: ইস্টবেঙ্গল আর ওড়িশা এফসি (Odisha FC) ম্যাচ মানেই গোলের বন্যা। দুই মরশুমে চারবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। সব মিলিয়ে হয়েছে ২৮ গোল। ওড়িশা দিয়েছে ১৫ গোল, ইস্টবেঙ্গল ১৩। তবে জয় হারের বিচারে ১-৩ ব্যবধানে পিছিয়ে লাল-হলুদ শিবির।
শুক্রবার ঘরের মাঠে এমন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নামার আগে চোটে কাবু ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। প্রতিপক্ষের থেকেও নিজের ফুটবলারদের নিয়ে ভাবনায় সময় কাটছে কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের। নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের (North East United) বিরুদ্ধে চোট লেগেছিল মিডফিল্ডার অ্যালেক্স লিমার। শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে শেষবেলায় তিনি মাঠে নেমেছেন। আবার বিড়ম্বনা বাড়িয়ে বেঙ্গালুরু ম্যাচে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন আরেক বিদেশি মিডফিল্ডার জর্ডন ও’ডোহার্টি। দুজনেই দলের সঙ্গে অনুশীলন শুরু করেছেন অবশ্য।
[আরও পড়ুন: বালিতে মোদি-জিনপিং করমর্দন, জাপান সাগরে গর্জন ভারতীয় রণতরীর, কী বার্তা দিল্লির?]
অসুস্থ হওয়ায় বৃহস্পতিবারও প্র্যাকটিসে ছিলেন না মোবাসির রহমান। ফলে মাঝমাঠ সাজানো নিয়ে চাপে স্টিফেন। ব্রিটিশ কোচের সমস্যা বাড়িয়েছেন জেরি লালরিনজুয়ালা। এদিন বিকেলের অনুশীলনে মাঠের পাশে ফিজিওর সঙ্গেই সময় কাটাতে দেখা গিয়েছে এই লেফট ব্যাককে। ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে তাঁকে আদৌ পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মাঠের বাঁ-প্রান্ত থেকে ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণের ক্ষেত্রে অনেকটাই ভূমিকা থাকে জেরি ও নাওরেম মহেশ সিংয়ের জুটির। জেরিকে না পেলে ডিফেন্সে ফের বদল করতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে।
[আরও পড়ুন: যাত্রা শুরু, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে জলে ভাসল দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী INS Vikrant]
মরশুমের শুরুটা আগের মরশুমের মতো হতাশাজনকভাবে করলেও বেঙ্গালুরু ম্যাচে জয়ের পর ইস্টবেঙ্গল এখন অনেকটাই ফুরফুরে। যে কনস্ট্যানটাইন আগে বলছিলেন, লিগে সম্মানজনক জায়গায় শেষ করাটাই তাঁর লক্ষ্য, তিনিই এখন বলছেন ইস্টবেঙ্গল লিগের টপ সিক্সেও শেষ করতে পারে। অর্থাৎ লাল-হলুদের ব্রিটিশ কোচ নক-আউটে খেলার আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন। সেই লক্ষ্যে এগোতে হলে ওড়িশার বিরুদ্ধে জিততেই হবে ইস্টবেঙ্গলকে।