সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের আইপিএলের (IPL) সঙ্গে জড়িয়ে গেল বেটিং বিতর্ক। আইপিএলের নয়া আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা যে সংস্থার হাতে গিয়েছে সেই সিভিসি ক্যাপিটাল (CVC Capital) নাকি একাধিক বেটিং সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। একাধিক বেটিং সংস্থায় বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে তাঁদের। প্রশ্ন উঠছে, সরাসরি বেটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত কোনও সংস্থা আইপিএলে দল কিনল কীভাবে?
পাঁচ হাজার ৬২৫ কোটি টাকার বিনিময়ে আইপিএলের নতুন আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা পেয়েছে সিভিসি ক্যাপিটালস। সিভিসির মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৯ লক্ষ ৩৭ হাজার কোটি টাকা। ১৯৮১ সালে তৈরি হয় এই ঋণদানকারী সংস্থা। ইউরোপের লুক্সেমবার্গের সংস্থা এটি। এখন তাদের প্রধান দপ্তর লন্ডনে। বিশ্বের ৭৩টি সংস্থায় বিনিয়োগ রয়েছে সিভিসির। এর আগেও একাধিক খেলার সঙ্গে যুক্ত ছিল তারা। এর আগে ফর্মুলা ওয়ান এবং ভলিবলে বিনিয়োগ করেছে তাঁরা। এমনকী, লা লিগার একটি ক্লাবেও এই সংস্থার মালিকানা আছে বলে সূত্রের দাবি।
[আরও পড়ুন: T-20 WC 2021: ভারত হারতেই হরভজনকে কটাক্ষ আমিরের, ‘কত টাকা নিয়েছিলে?’, পালটা প্রশ্ন ভাজ্জির]
প্রাক্তন আইপিএল কমিশনার ললিত মোদির (Lalit Modi) দাবি, এই সিভিসি ক্যাপিটাল ইউরোপের একাধিক বেটিং সংস্থায় বিনিয়োগ করে রেখেছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, সরাসরি বেটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত একটি সংস্থা কীভাবে আইপিএল দলের মালিকানা পেল। টুইটে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন,”এখন কি বেটিং সংস্থাগুলিও আইপিএল দলের মালিক হয়ে যাবে? আমি তো শুনলাম একটি দলের মালিকের নিজেরই বেটিং সংস্থা আছে। বিসিসিআই (BCCI) কী কোনও হোমওয়ার্ক করে না? দুর্নীতি-দমন শাখাই বা কী করছে?”
[আরও পড়ুন: ‘হিন্দুদের মাঝে রিজওয়ানের নমাজ পড়া সেরা মুহূর্ত’, বিতর্কিত মন্তব্য করে ক্ষমা চাইলেন ওয়াকার]
সিভিসি ক্যাপিটালস নিয়ে এই বিতর্কে অবশ্য সাফাইও দিয়েছেন বোর্ডের এক কর্তা। বোর্ডের এক শীর্ষকর্তা এক সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন,”সিভিসি ক্যাপিটাল একটা বিরাট বড় কোম্পানি। তাঁরা চাইলে বেটিং সংস্থার শেয়ার কিনতেই পারে। কারণ বিদেশে বেটিং বৈধ। ওঁরা অন্য একটি সংস্থার মাধ্যমে টিম কিনেছে। সেই সংস্থার হাতে নিয়ন্ত্রণ থাকলেই কোনও সমস্যা নেই। তাছাড়া, বেটিং আর ম্যাচ ফিক্সিং তো এক জিনিস নয়।”