সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সালকিয়ার গলি থেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের অ্যাকাডেমিতে অনুশীলনের সুযোগ। ইতিহাসে নাম লেখালেন তরুণ স্ট্রাইকার শুভ পাল (Subha Paul)। বায়ার্ন মিউনিখের অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ার্ল্ড স্কোয়াডে খেলার সুযোগ পেলেন শুভ। সেই সঙ্গে মিলে গেল মিউনিখে বায়ার্নের অ্যাকাডেমিতে গিয়ে অনুশীলনের সুযোগও। ট্রেনিংয়ে জার্মান চ্যাম্পিয়ন দলের কোচেদের সন্তুষ্ট করতে পারলে মিলে যেতে পারে পেশাদার চুক্তি করার সুযোগও। প্রথম ভারতীয় হিসেবে এই বিরল কীর্তি গড়লেন হাওড়ার শুভ পাল।
আসলে কিছুদিন আগেই বিশ্বব্যাপী তরুণ তুর্কিদের খোঁজে স্কাউটিং শুরু করেছিল বায়ার্ন (Bayern Munich)। বিশ্বের ৬৪টি দেশ জুড়ে মোট ৬৫৪ জন তরুণ ফুটবলারকে প্রাথমিকভাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ার্ল্ড স্কোয়াড (Bayern Squad) গড়ার লক্ষ্যে। সেই ৬৫৪ জন প্রতিভাবান ফুটবলারের মধ্যে থেকে ১৫ জনকে চূড়ান্ত স্কোয়াডে রেখেছেন বায়ার্ন মিউনিখের কোচেরা। যার মধ্যে স্থান পেয়েছেন হাওড়ার শুভ। বায়ার্ন মিউনিখের ওয়েবসাইটে ওয়ার্ল্ড স্কোয়াডের সদস্য হিসেবে শুভ পালের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এই ১৫ জন তরুণ ফুটবলারকে এবার মেক্সিকো (Mexico) নিয়ে যাবে বায়ার্ন। চলতি মাসের শেষেই দিল্লি থেকে মেক্সিকো উড়ে যাবেন শুভ। সেখানে দু-সপ্তাহের ট্রেনিং চলবে। ওয়ার্ল্ড স্কোয়াডের সদস্যরা খেলবেন তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ। তারপরই গোটা ওয়ার্ল্ড স্কোয়াড চলে যাবে মিউনিখে। আগস্ট মাসে মিউনিখে শুরু হবে মূল পর্বের ট্রেনিং। প্রশিক্ষণ দেবেন বায়ার্ন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ ক্রিস্টোফার লোচ। সেখানে বায়ার্নের যুব দলের বিরুদ্ধেও খেলার সুযোগ পাবেন শুভরা। সব ঠিক থাকলে বায়ার্নের যুব দলেও সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন তিনি।
[আরও পড়ুন: মেসির সঙ্গে আজব মিল রয়েছে কোহলির, খোঁচা দিয়ে বললেন রামিজ রাজা]
সালকিয়ার সীতানাথ বোসের বাসিন্দা শুভর বাড়ির আর্থিক অবস্থা মোটেই স্বচ্ছ্বল নয়। একটা সময় জোটেনি জুতোও। কিন্তু সেই ছোটবেলায় শুভ পাল চিমা ওকোরির (Chima Okori) নজরে পড়ে যান। শুভর প্রতিভা দেখে আপ্লুত চিমাই তাঁকে জুতো কিনে দেন। কোচের দেওয়া জুতোতে পা গলিয়েই আজ সাফল্যের শীর্ষে সালকিয়ার ছেলেটি। ২০১৫-১৬ সাল থেকে সুদেভা এফসির সঙ্গে যুক্ত শুভ। ভারতের বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে খেলেছেন। গতবছর তাঁকে দেখা গিয়েছে সিনিয়র আই লিগে (I-League) সুদেভার সিনিয়র দলে সুযোগ পান, এবং নজর কাড়েন। সব সময় গোল করার খিদে ও ঠিক পজিশনিং সেন্সের সুবাদেই শুভকে নির্বাচিত করেছেন বায়ার্নের কোচেরা।