সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মের নামে হানাহানির খবর আকছার, কোথাও ইসলামের নামে সন্ত্রাসবাদ আবার কোথাও গোরক্ষকদের দাদাগিরি। রামচন্দ্রকে হাতিয়ার করে ধ্বংসলীলা চালানোর অভিযোগও নেহাত কম নয়। এসবের মধ্যে এই ভগবান রামচন্দ্রকে সম্প্রীতির মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করলেন এক মুসলিম মহিলা। আস্ত রামায়ণ মহাকাব্যটিকে তিনি অনুবাদ করে ফেললেন উর্দুতে।
[দম থাকলে হায়দরাবাদ জিতে দেখান, মোদিকে চ্যালেঞ্জ ওয়েসির]
কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন কানপুরের অধ্যাপিকা ডঃ মাহি তালাত সিদ্দিকি। দুই ধর্মের সমন্বয়ের চিহ্নরূ হিসেবে তিনি উর্দুতে রামায়ণ অনুবাদ করার নজির রাখতে চেয়েছেন। বছর দুই আগে ডঃ সিদ্দিকিকে রামায়ণ উপহার দিয়েছিলেন বদ্রী নারায়ণ তিওয়ারি নামে কানপুরের এক বাসিন্দা। উপহার পাওয়ামাত্র মহাকাব্যটি অনুবাদ করার সিদ্ধান্ত নেন তালাত। প্রথমে মাস ছয় তাঁর সময় লেগেছিল রামায়ণ পড়ে তার অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝতে। তারপরই শুরু করেন লিখতে। দেড় বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর সফল হন তিনি।
[১৩ বার যৌন সম্পর্কের চেষ্টা বিশপের, বিস্ফোরক অভিযোগ কেরলের সন্ন্যাসিনীর]
তালাত জানিয়েছেন, রামায়ণের উর্দু অনুবাদের কাজ শেষ করার পর অদ্ভুদ মানসিক শান্তি পেয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘অন্য ধর্মগ্রন্থের মতো রামায়ণও খুব সুন্দর। রামায়ণেও লুকিয়ে রয়েছে শান্তি আর ভ্রাতৃত্বের বাণী। এর লেখনীও খুব সুন্দর, আমি অনুবাদ করার সময় আমি মানসিকভাবে শান্তি পেয়েছি।’ ওই অধ্যাপিকা জানিয়েছেন দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির নিদর্শন তৈরি করতেই তাঁর এই উদ্যোগ। তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ আছেন যারা ধর্মের নামে উসকানি দিয়ে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করেন। কোনও ধর্মই একে অপরকে ঘৃণা করতে শেখায় না। প্রত্যেকেরই উচিত প্রত্যেক ধর্মকে সম্মান জানানো।’ তিনি আরও বলেন, সব ধর্মের মানুষেরই উচিত অন্য ধর্মকে বোঝা। মুসলিমরা যাতে রামচন্দ্র সম্পর্কে জানতে পারেন তা নিশ্চিত করতেই রামায়ণ লেখার এই উদ্যোগ।
The post উর্দুতে রামায়ণ লিখে সম্প্রীতির নজির মুসলিম মহিলার appeared first on Sangbad Pratidin.