সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়ো রোডে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি এসএসসি (SSC) চাকরিপ্রার্থীদের। পুলিশের সামনেই আত্মহত্যার চেষ্টা এক তরুণীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এদিনের ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দুই চাকরি প্রার্থী। তাঁদের ভরতি করা হয়েছে হাসপাতালে। এ বিষয়ে পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল।
বৃহস্পতিবার বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের নেতৃত্বে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের রাজভবনে যাওয়ার কথা ছিল। রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতেন তাঁরা। অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। এরপর মেয়ো রোডে ক’দিন ধরেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিশি বাধা পেয়ে সেখানে যান সজল ঘোষেরা। সেখানে বাঁশ দিয়ে আন্দোলনকারী মহিলাদের জন্য অস্থায়ী শৌচাগার তৈরির কাজ চলছিল। তাতে বাধা দেয় পুলিশ। ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়ার সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন চাকরি প্রার্থীরা। এরপরই পরিস্থিতি কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
[আরও পড়ুন: জেরা শেষের আগেই অনুব্রতকে ছাড়ল সিবিআই, SSKM গেলেন অসুস্থ তৃণমূল নেতা]
সেখানে পুলিশের সামনেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন রিক্তা সরকার নামে এক চাকরিপ্রার্থী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হতে হয় পুলিশকে। ঘটনার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন রিক্তা-সহ ২ চাকরিপ্রার্থী।
ঘটনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। তিনি বলেন, “রাজ্যপালের কাছে আমাদের একটা ডেপুটেশন দেওয়ার কথা ছিল। আমি গিয়ে দেখি পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের বিশাল ধস্তাধস্তি, কারণ ছাত্রীদের জন্য শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছিল। পুলিশ সেটুকু হতে দেবে না, ফাইনালি ডিসি সাউথের নেতৃত্বে এক বিশাল বাহিনী আসে এবং আমাদের প্রত্যেককে মারতে মারতে গাড়িতে তোলা হয়। বর্তমানে আমরা সেন্ট্রাল লক আপে। এই ঘটনা নিয়ে টুইটে পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন ধনকড়। অন্যদিকে, এদিন মেয়ো রোডে এসএসসির বঞ্চিত প্রার্থীদের অন্য একটি ধর্না মঞ্চে যান কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বঞ্চিত প্রার্থীদের বলেন, আগে মেধাতালিকায় থাকা প্রার্থীদের চাকরি নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে এই ইস্যুতে দিল্লিতেও আন্দোলন হবে।