গোবিন্দ রায়: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ধৃত স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বুধবার মামলাকারীর আইনজীবীকে এক বছর বাদে মক্কেলের জামিনের কথা ভাবতে বলে এই নির্দেশ দেয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওএমআর শিটে যা পাওয়া গিয়েছে, সেটা তিনি অস্বীকার করতে পারেন না। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগও তিনি এড়িয়ে যেতে পারেন না। তিনি এসএসসির প্রধান, একটি সংস্থার সর্বোচ্চ পদে থেকে দুর্নীতির ঘটনা জানেন না এটা হতে পারে ! আদালত আরও জানিয়েছে, “একজন সরকারি কর্মী হয়ে তাঁর উচিত কর্তব্য পালন করা। যেটা তিনি এড়িয়ে যেতে পারেন না। এই দুর্নীতিতে শিক্ষা ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টে খারিজ জনস্বার্থ মামলা, আপাতত লালন শেখ মৃত্যুর তদন্তভার সিআইডি’র হাতেই]
এদিন মামলার শুনানিতে সুবীরেশের আইনজীবী অশোক বন্দোপাধ্যায়ের দাবি ছিল, “২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত যে সময় সুবীরেশ ভট্টাচার্য এসএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন, সেই সময় নিয়োগ দুর্নীতি হয়নি। সে সময় পরীক্ষা হয়েছে, তালিকা বেরিয়েছে। পরে তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন এই দুর্নীতি সামনে আসে।” এরপর সুবীরেশ এই কারচুপির সঙ্গে যুক্ত কি না তা জানতে চায় আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ তাও জানতে চায় ডিভিশন বেঞ্চ। সিবিআই জানায়, আবেদনকারীর বিরুদ্ধে দু’টি মামলা রুজু হয়েছে। এছাড়াও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে গ্রুপ সি মামলাতেও ফের তাঁকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
সুবীরেশের আইনজীবীর আরও দাবি, “তাঁকে সাক্ষী হিসেবে ডাকা হয়েছিল। তারপর গ্রেপ্তার করা হয়। ৫ জনের কমিটির প্রধান ছিলেন এসপি সিনহা। তিনি সবটা জানেন।” আইনজীবীর আরও দাবি, “সাক্ষী হিসেবে ডেকে পর্না বোসের কথার ভিত্তিতে সুবীরেশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অথচ প্রোগ্রাম অফিসার পর্না ও সমরজিৎকে গ্রেপ্তার হয়নি।” পালটা ডিভিশন বেঞ্চের মত, “তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন তালিকা প্রকাশ হয়। তালিকায় কারচুপিও হয়। তাহলে কি তিনি ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত এটা বলা যায় না?”