অর্ণব আইচ: সামাজিক ন্যায়ের দাবিতে আদালতে সরব প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। আলিপুর আদালতের এজলাসে দাঁড়িয়ে তাঁর দাবি, “প্রতিদিন আমার সামাজিক চরিত্র হনন করা হচ্ছে। এরপর আর কেউ মন্ত্রী বা জনপ্রতিনিধি হতে চাইবে না।” উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেল হেফাজতের সোমবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে তোলা হয়েছিল। সেখানে দাঁড়িয়ে ফের একবার তদন্তকারী সংস্থা ইডি-সিবিআইয়ের (CBI) বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি। তবে এদিনও জামিন পেলেন না নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিয়ুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁকে জেলেই থাকতে হবে, জানিয়ে দিল আদালত।
আলিপুর আদালতের বিচারক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চান, “আপনার কিছু বলার আছে?” জবাবে তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব বলেন, সকলে সামাজিক ন্যায়ের কথা বলছে। কিন্তু প্রতিদিন সামাজিকভাবে আমার চরিত্র হনন করা হচ্ছে।” এরপরই পার্থ বলে ওঠেন, “এরপর আর কেউ মন্ত্রী বা জনপ্রতিনিধি হতে চাইবে না। ইডি-সিবিআইকে আমাদের জায়গায় বসাতে হবে।” নিজেকে মন্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিতে গিয়ে থেমে যান তিনি। এরপরই ইডি-সিবিআইয়ের কাছে বৃহত্তম ষড়যন্ত্রে সংজ্ঞা চান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বলেন, “প্রতিদিন বলা হচ্ছে বৃহত্তর যড়যন্ত্র। এক কথা শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে। আমি ন্যায় বিচার চাইতে এসেথি হুজুর। আমাকে ন্য়ায় বিচার দেওয়া হোক।”
[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর রক্ষাকবচের বিরোধিতা, হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য]
এদিন সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে আদালতে তোলা হয়েছিল। আপাতত তিনি নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। কিন্তু তাঁকে গ্রুপ সি- গ্রুপ ডির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তারির আবেদন করেছে সিবিআই। পালটা এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা কমিটির সদস্য় সুবীরেশের আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায় আদালতে আরজি জানান যাতে মক্কেলকে কম দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হোক।
গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডি’র জালে ধরা পড়েন পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁর দু’টি ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। এছাড়া প্রচুর সোনার গয়নাগাটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। এত বিপুল সম্পত্তি মালিক কীভাবে হলেন অর্পিতা, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যদিও অর্পিতা দাবি করেন, তাঁর ফ্ল্যাট দু’টি ‘মিনি ব্যাংক’ হিসাবে কাজে লাগাতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।