স্টাফ রিপোর্টার: এলাকা দখল ও অবৈধ নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই প্রোমোটার গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ। আহতদের ভরতি করাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড এসএসকেএম হাসপাতালে। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে মৃদু লাঠিচার্জ করতে হয় বলেও জানা গিয়েছে।
[সার্জেন নয়, এবার সরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করবে ৩৬ কোটির রোবট]
সোমবার রাতে খিদিরপুরের ভূকৈলাশ মন্দিরের কাছে অবৈধ নির্মাণকে করে কেন্দ্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ২টি গোষ্ঠী। ধারালো অস্ত্র নিয়ে চলে সংঘর্ষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষে ২ পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হন। সকলেই নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম-এ। কিন্তু, হাসপাতালেও ফের ২ গোষ্ঠীর লোকেদের মধ্যে বচসা বাধে। শুরু হয় হাতাহাতি। রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রোগীদের পরিবারের লোকেরা। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে হাজির হয়েছিল ২ গোষ্ঠীর প্রায় ৬০-৭০ জন যুবক। কোন গোষ্ঠীর আহতদের আগে ভরতি নেওয়া হবে, তা নিয়ে শুরু হয় বচসা। ক্রমে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। চোখের নিমেষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় হাসপাতাল চত্বর। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অন্যান্য রোগীর পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে হাসপাতালে যায় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মৃদু লাঠিচার্জ করা হয় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় অরুণ জয়সওয়াল নামে এক যুবক মারাত্মক জখম হয়েছেন। তাঁর হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপ পড়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় পাপ্পু শর্মা নামে আরও এক যুবকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের দাবি, পাপ্পু এলাকায় কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতী বলেই পরিচিত। ঘটনার সময়ে তার সঙ্গে চন্দন ও বিকাশ নামে আরও ২ দুষ্কৃতী ছিল।
[বউদির দোকান থেকে মাদকের হোম ডেলিভারি, ক্রেতা কলেজ পড়ুয়ারা ]
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, খিদিরপুরে ভূকৈলাশ মন্দির লাগোয়া এলাকায় নির্মাণকাজ নিয়ে ২ গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের। সেই বিবাদের জেরেই অগ্গিগর্ভ হয়ে উঠেছিল এলাকা। এই বিবাদে আবার রাজনীতির রংও লেগেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, বিবদমান ২ গোষ্ঠীই শাসকদলের মদতপুষ্ট। তাদের মধ্যেই তৈরি হওয়া দীর্ঘদিনের অসন্তোষের জেরই এদিন তুমুল গন্ডগোলে পরিণত হয়।
[গ্যাস লিকের আতঙ্ক কাটেনি, লিলুয়ায় নমুনা সংগ্রহে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ]