দীপঙ্কর মণ্ডল: রাজ্যপাল-আরএসএসের আঁতাত নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যের তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা। এবার ‘তথ্য প্রমাণ’ সমেত রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে আক্রমণ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যপালের একটি টুইটের স্ক্রিনশট নিয়ে পালটা টুইট করেন পার্থ। যেথানে দেখা গিয়েছে, একটি চিঠির ছবি রয়েছে। আর সেই চিঠিটি জনৈক আরএসএস সুধীর রাজ্যপালকে পাঠিয়েছেন। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার ফের একবার রাজ্য বনাম রাজ্যপাল তরজা তুঙ্গে উঠেছে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টুইটারে ট্যাগ করে সুরজিৎ করপুরকায়স্থ ও রিনা মিত্রর মত অবসরপ্রাপ্ত আইপিএসদের নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা উপদেষ্টা করে কী লাভ হল সেই প্রশ্ন তোলেন ধনকড়। কয়েকদিন আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটছে বলে সুর চড়ান রাজ্যপাল। প্রশাসনকে টুইটে খোঁচা দিতে থাকেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশকে ট্যাগ করে মুখ্যসচিবের কাছ থেকে জবাব তলব করেছিলেন। তবে রাজভবনে কোনও রিপোর্ট জমা পড়ার খবর মেলেনি। এই টুইটে সুরজিৎ করপুরকায়স্থ ও রিনা মিত্রকে নিয়োগের চিঠিও এনক্লোজ করেছিলেন রাজ্যপাল। আর সেই চিঠির ছবিতে দেখা যায়, সেটি আরএসএসের কোনও সদস্য তাঁকে পাঠিয়েছেন। এ নিয়ে রাজ্যপালকে আক্রমণ করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরে যদিও রাজ্যপালের টুইটে আরএসএসের ওই নাম আর দেখা যায়নি।
[আরও পড়ুন : ‘আল-কায়দার নিরাপদ ডেরা পশ্চিমবঙ্গ’, রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে ফের পুলিশকে বিঁধলেন ধনকড়]
টুইটারে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ওই চিঠির ছবিটি দিয়ে লেখেন, “কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল স্থানীয় রাজনীতি থেকে দূরে থাকবেন, সেটাই বাঞ্ছনীয়। কিন্তু বিজেপির জমানায় সরাসরি আরএসএসের নির্দেশে কাজ করেন।” পরে তৃণমূলের বুথ ভিত্তিক সম্মেলনে রাজ্যপালের উদ্দেশে পার্থ বলেন, “উনি আগে নিজের মাথা ঠিক করুন। যার মাথার ঠিক নেই তার কথার উত্তর দেওয়ার মানে হয় না।”