স্টাফ রিপোর্টার: দু’টি ডোজ নেওয়ার পরেও ফের করোনা (Corona virus) পজিটিভ! এমন ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে তথ্যভাণ্ডার তৈরি করবে স্বাস্থ্যদপ্তর। জানা হবে টিকা প্রাপকদের লালারসে প্রাপ্ত করোনার মিউটেশন ঘটেছে কি না? আর এই জন্য দরকার গ্রহীতার জীবনচর্যা।
টিকা নিলেই কেল্লাফতে! এমন একটা ধারণা তৈরি হয়েছে জনমানসে। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর যদিও বা মাস্ক বা বারবার হাত ধোয়া অভ্যাস থাকছে। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর থেকেই সব অভ্যাস উধাও। আর এই ঘটনাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে স্বাস্থ্যদপ্তর। যদিও অন্য রাজ্যের তুলনায় এখানে সেই সংখ্যা অনেক কম। কিন্তু দু’টি ডোজ নেওয়ার পরেও কয়েকজন ফের করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রাথমিক তথ্য বলছে, রাজ্যে অন্তত ১২ জন দু’টি ডোজ নেওয়ার পরেও কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। জ্বর-সর্দির সংক্রমণ থাকায় করোনার আরটিপিসিআর (RT-PCR) পরীক্ষার পর পজিটিভ রিপোর্ট আসছে। যদিও সংক্রমণ অতটা তীব্র নয়।
[আরও পড়ুন: ‘নারায়ণী ব্যাটেলিয়ান নিয়ে মোদি মিথ্যা বলছেন’, RTI-এর তথ্য তুলে তীব্র আক্রমণ মমতার]
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, এমনটাই বা হবে কেন? আর এই ঘটনা জানতে ‘তথ্যভাণ্ডার’ তৈরি করছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তীর কথায়, “দু’টি ডোজ নেওয়ার অন্তত ৩-৪ সপ্তাহ পরেই শরীরে প্রোটেক্টিভ ইমিউনিটি তৈরি হয়। করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। যদিও অন্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে এমন নজির খুব কম। কিন্তু এই সামান্য বিষয়কেও গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।” স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, দু’টি ডোজ নেওয়ার তিন সপ্তাহ পরেও যাঁরা পজিটিভ হয়েছেন, তাঁদের আরটিপিসিআর পরীক্ষার পর জিনোম সিকোয়েন্স স্টাডি করা হবে। সেই তথ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রোটোকল বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করবেন।”
ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞদের অভিমত, কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন- দু’টিরই কার্যকারিতা ৭০-৭৫ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ জন টিকা নিলে গড়ে ৩০ জনের ভ্যাকসিন কোনও কাজ করবে না। বাকি ৭০-৭৫ জন টিকা নেওয়ার পাশাপাশি কোভিড প্রোটোকল মেনে চলতেই হবে। স্বাস্থ্য অধিকর্তার কথায়, “কোনও ভ্যাকসিনই একশোভাগ কার্যকর নয়। তাই ৭০-৭৫ জনের মধ্যে দু’টি ডোজ নেওয়ার পরেও পজিটিভ দেখা যায়। এখন থেকে জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করে জানা হবে ভাইরাসের চরিত্রের বদল বা মিউটেশন হয়েছে কি না।” আর ঠিক এই কারণেই টিকাকরণের পাশাপাশি গ্রাহক পজিটিভ হলেই তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে।