সৌরভ মাজি, বর্ধমান: মোটা টাকায় ভেন্টিলেশনযুক্ত অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) ভাড়া নিলেও মাঝপথে তা বিকল হয়ে যায়। অভিযোগ, অ্যাম্বুল্যান্সের ভেন্টিলেশন ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রোগীর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার রাতে বর্ধমান শহরের এই ঘটনার তদন্তে স্বাস্থ্যদপ্তর।
মেমারির সাতগাছিয়ার বাসিন্দা স্বপন দাস শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে বর্ধমানের উল্লাস মোড়ের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কয়েকদিন আগে। মঙ্গলবার অবস্থার অবনতি হওয়ায় এবং ওই হাসপাতালে ঠিকমতো পরিষেবা না পাওয়ার কারণে তাঁরা শহরের নবাবহাট এলাকার একটি হাসপাতালে ওই রোগীকে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেনে। সেই মতো ভেন্টিলেশনের সুবিধাযুক্ত অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করেন তাঁরা। কিন্তু উল্লাস থেকে পুলিশ লাইন মোড় পর্যন্ত এসেই সেটি বিকল হয়ে যায়। অভিযোগ, ভেন্টিলেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কিছু পরেই রোগীরও মৃত্যু হয়। এরপরই রোগীর পরিজনরা অ্যাম্বুল্যান্সটি ভাঙচুর করেন। এমনকী চালককেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: করোনা আবহেও অটুট রীতি, দুর্গাপুজোয় সকলের জন্য খোলা কাঞ্চনতলা জমিদার বাড়ির দরজা]
মৃতের নিকটজনদের অভিযোগ, মাত্র ১০ কিলোমিটার যেতে ওই অ্যাম্বুল্যান্সে ২০ হাজার টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। যদিও সাড়ে ৫ হাজার টাকা আগাম নেওয়া হয়েছিল। পৌঁছনোর পর বাকি টাকা দেওয়ার কথা ছিল। অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংস্থার তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, ভেন্টিলেশন বন্ধ হয়নি। তাঁরা বিকল্প গাড়িরও ব্যবস্থা করেছিলেন। তারপরেও রোগী মৃত্যু ঘটেছে। কিছু করার ছিল না বলেও দাবি করেন তাঁরা। এই ঘটনায় স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী। বুধবার তিনি ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন। তারপর স্বাস্থ্য দপ্তরকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলেন।