সুমন করাতি, হুগলি : সারা মাস বনবন করে ঘুরলেও সাকুল্যে বিদ্যুৎ বিল আসবে মাত্র ৫৯ টাকা। 'টিফোজ ৯৯৯' রকেট নামে ওই ফ্যানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল আজ পোলবার সুগন্ধায় সাইনোসোর কারখানায়। উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, বেচারাম মান্না, জাভেদ আহমেদ খান, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা। এছাড়াও ছিলেন, পোলবার বিডিও জগদীশ বাড়ুই, সাইনোসোর সংস্থার কর্ণধার সম্পূর্ণা ও সম্রাজ্ঞী ঘোষ সহ বিশিষ্টরা।
মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, "১৫০ থেকে ২০০ জন কর্মী সরাসরি কাজ করছেন। ডিলার ও রিটেলার নিয়ে পরোক্ষ ভাবে কয়েকশো লোকের কর্মসংস্থান হবে। রাজ্য সরকার এই ধরনের এমএসএমইগুলোকে সাহায্য করছে। সাধারণ মানুষ স্বল্প মূল্যে পাখা পাবে। আবার বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।"
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, "প্রযুক্তি এগোচ্ছে, তার ফসল ঘরে ঘরে পৌঁছচ্ছে। টিফোজের বিএলডিসি পাখা আমি নিজে ব্যবহার করেছি খুব ভালো চলছে।"
বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান বলেন, "গরিব নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য এই বিএলডিসি পাখা খুবই উপযোগী। কারণ এতে বিদ্যুৎ খরচ খুবই কম। ২৮ ওয়াটের পাখা সারাদিন চললেও বিদ্যুৎ খরচ হবে নামমাত্র। বাংলায় এই পাখা তৈরি হচ্ছে এটা গর্বের।"
সংস্থার অন্যতম কর্ণধার সম্পূর্ণা ঘোষ বলেন, "বাংলার ঘরে ঘরে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিএলডিসি প্রযুক্তির পাখা আমরা তৈরি করছি। এক বছর ধরে আমরা টেস্ট রান করেছি। খুব ভালো সাড়া পেয়েছি। ভারত সরকার বলে দিয়েছে, ফাইভ স্টার ছাড়া পাখা এখন চলবে না। ফাইভ স্টার বিএলডিসি পাখা যেগুলো এখন বাজারে পাওয়া যায় তার দাম প্রচুর। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। সেই কারণে আমরা ৯৯৯ টাকায় এই পাখা নিয়ে এসেছি। যেহেতু আমাদের কারখানাতেই এই পাখা তৈরি হচ্ছে, তাই আমরা দামটা কম রাখতে পেরেছি।"
পুরনো পাখা বদল করে এই বিএলডিসি ফ্যান নেওয়া যাবে। সেই কথাও জানিয়েছেন কর্ণধার সম্পূর্ণা ঘোষ। তিনি আরও বলেন, "আমরা ইতিমধ্যেই ৬২ হাজার পাখা বিক্রি করেছি। যার একটারও অভিযোগ আসেনি।"