অর্ণব আইচ: হাই কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে পেল না সিবিআই। মঙ্গলবার সন্ধে সাতটা পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থায় হাতে তুলে দেয়নি সিআইডি। তাঁদের যুক্তি, এই মামলায় হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্চ করে শীর্ষ আদালতে গিয়েছে রাজ্য। ফলে সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয়, তার উপর ভিত্তি করেই ঠিক হবে শেখ শাহজাহান কার হেফাজতে থাকবে।
সন্দেশখালি কাণ্ডের তদন্তভার থাকবে কার হাতে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চরমে টানাপোড়েন। প্রথম থেকেই ইডির দাবি ছিল, তদন্তভার দিতে হবে সিবিআইকে। কারণ, রাজ্যপুলিশ তদন্ত করলে তা পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে বলেই বার বার আদালতে তা দাবি করা হয়। পরবর্তীতে শেখ শাহজাহানকে কে গ্রেপ্তার করবে, তা নিয়েও দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। শেষে আদালতের নির্দেশে সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে সিআইডি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সন্দেশখালি মামলার তদন্তভার তুলে দেন সিবিআইয়ের হাতে।
[আরও পড়ুন: ‘নরেন্দ্র মোদি ভালো মানুষ’, গেরুয়া শিবিরে পা রেখেই দরাজ সার্টিফিকেট অভিজিতের!]
আদালতের তরফে ন্যাজাট এবং বনগাঁ থানার মোট তিনটি মামলার তদন্তভারই সিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়। নির্দেশ ছিল, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটের মধ্যে শেখ শাহজাহানকে তুলে দিতে হবে সিবিআইয়ের হাতে। সেই মতো এদিন বিকেলে ভবানী ভবনে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করলেও শাহজাহানকে হেফাজতে পাননি তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের করা মামলাকে হাতিয়ার করে শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতেই রাখছে সিআইডি। প্রসঙ্গত, হাই কোর্ট সিবিআইকে সন্দেশখালি মামলার তদন্তভার দেওয়ার পরই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য।