বাবুল হক, মালদহ: প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর (Krishnendu Narayan Choudhury) নিরাপত্তা প্রত্যাহার করল রাজ্য। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা ছেড়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য? বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের বাড়িতে হামলার কারণেই এই ঘটনা? নাকি নেপথ্যে অন্যকিছু? তা নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়েছে সবমহলে।
এ প্রসঙ্গে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, “আমি গাড়ি নিয়ে তিন নম্বর ওয়ার্ডে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমার সিকিউরিটিকে ফোনে বলা হয় নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমি জানার পরই অফিসে গিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের পাঠিয়ে দিই।” জ্যোতি বসুর সময় থেকেই নিরাপত্তা পেতেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ। রাজ্যের মন্ত্রী হওয়ার পর বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। কিন্তু আচমকাই এদিন তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। সমালোচকদের মতে, এই বিষয়টি দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ার ইঙ্গিত। যদিও সম্প্রতি মালদহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সভায় স্বমেজাজে দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন মন্ত্রীকে।
[আরও পড়ুন: দিনভর ইঁদুর দৌড়ের পরও হল না শেষরক্ষা, পুলিশের জালে বিজেপি নেতা রাকেশ সিং]
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের বাড়িতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। বিধায়কের বাড়ির সামনে থাকা বাইক ভাঙচুর করা হয়। বাড়ি ও দলীয় কার্যালয়ের আসবাব ভেঙে ফেলা হয়। অভিযোগ, বিধায়ককে লক্ষ্য করেও ঢিল ছোঁড়া হয়। বিধায়ক অভিযোগ করেন, প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী এবং তাঁর অনুগামী তথা মালদহের যুব তৃণমূলের সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস আশ্রিত দেড়শো জন দুষ্কৃতীই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রাক্তন মন্ত্রী-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়। কিন্তু গ্রেপ্তার করা হয়নি কোনও অভিযুক্তকে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহলের একাংশ।
দেখুন ভিডিও: