সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিকেলের দিকেই শিডিউল ফিক্স ছিল। শহরের নামী শপিং মলে প্রচারে ‘কবীর‘-এর গিয়েছিলেন দেব, রুক্মিণী, প্রিয়াঙ্কারা। পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ও সঙ্গে ছিলেন। আচমকাই ঘটে গেল ঘটনাটা। মলের চারদিক থেকে স্পাইডার ম্যান-এর মতো বেয়ে নেমে পড়লেন এসটিএফ কম্যান্ডোরা। হাই অ্যালার্ট জারি হয়ে গেল গোটা এলাকায়। রাইফেল নিয়ে মলে সন্তর্পণে ঢুকে পড়লেন স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের জওয়ানরা। ইশারায় ছক কষা হয়ে গেল কয়েক মিনিটের মধ্যে। চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই ধরাশায়ী আততায়ী। পুরো ঘটনা ক্যামেরাবন্দি হল দেবের ফেসবুক প্রোফাইলে।
[গারদে বলিউডের ‘টাইগার’, ক্ষতির পরিমাণ কতটা হতে পারে?]
হ্যাঁ, খবর চাঞ্চল্যকর বটে তবে ভয়ের নয়। কারণ এই সমস্ত কিছুই ছিল আগে থেকে পরিকল্পিত। আর এ পরিকল্পনা স্বয়ং দেবেরই। সামনেই মুক্তি পাবে দেবের ‘কবীর’। তারই প্রচারে এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন অভিনেতা তথা প্রযোজক। এ ছবি এসটিএফকে ট্রিবিউট জানিয়েই করেছেন দেব। সে কারণেই এই মক ড্রিলের ব্যবস্থা করেছেন। যাতে সাধারণ মানুষ স্বচক্ষে দেখতে পারেন, কীভাবে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই জওয়ানরা কাজ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা এসটিএফ-এর ডেপুটি কমিশনার মুরলীধর শর্মাও।
প্রযোজক হিসেবে ক্রমেই পরিণত হয়ে উঠছেন দেব। ছবি তৈরি করার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছবির প্রচার ঠিকঠাকভাবে করা। সাফল্যের এই মন্ত্র তিনি ভালভাবেই জানেন। সে নমুনা ‘চ্যাম্প’ ও ‘ককপিট’-এর সময়ই মিলেছে। ‘কবীর’-এর ক্ষেত্রে নিজের দক্ষতার সেই মানকেও পেরিয়ে গেলেন দেব। এমন মক ড্রিল করে কলকাতা শহরে বাংলা ছবির প্রচার শেষ কবে হয়েছে, তা মনে করতে মগাজাস্ত্রে শান অবশ্যই দিতে হবে শহরবাসীকে। তারপরও না মনে পড়তে পারে। ছবির প্রতি নিজের ভালবাসা থেকেই এ কাজ করেছেন দেব। কারণ নতুন এই ছবিটি তাঁর মনের খুবই কাছের। তাই এর থেকে নায়কের প্রত্যাশাও বেশি। সে প্রত্যাশা কতটা পূরণ হবে, সে উত্তর অদূর ভবিষ্যতেই মিলবে।
[কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলা, সলমনের জেলযাত্রায় হতাশ বলিউড]
The post ‘কবীর’-এর প্রচারে আসরে এসটিএফ! ব্যাপারটা কী? appeared first on Sangbad Pratidin.