সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের। তাঁকে গাড়িতে উঠতে বাধা, রীতিমতো ধস্তাধস্তি চলল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে।
[ কলকাতার নয়া কমিশনার অনুজ শর্মা, এডিজি-সিআইডি হলেন রাজীব কুমার]
নির্বাচিত ছাত্র সংসদ নাকি অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিল? এই নিয়ে বিতর্ক যখন তুঙ্গে, তখনই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখালেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। রাজ্য সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করলেও, এ রাজ্যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র কাউন্সিল তৈরির প্রক্রিয়া এখনও থমকে। এদিকে গত দুই বছর ধরে ছাত্র সংসদের নির্বাচনও হচ্ছে না। লোকসভা ভোটের মুখে প্রশাসনিক কারণে এখন ছাত্র সংসদ নির্বাচন করা যাবে না জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতেও স্রেফ পড়ুয়াদের দাবিতে গুরুত্ব দিয়ে বৈঠকে বসেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিল। বৈঠকের মূল আলোচ্যই ছিল, ছাত্র সংসদের নির্বাচন। কিন্তু বৈঠক শেষ হতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। বিক্ষোভের মুখে পড়েন খোদ উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। প্রশাসনিক ভবন থেকে বেরতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন পড়ুয়ারা। তড়িঘড়ি গাড়িতে উঠতে যান উপাচার্য। কিন্তু তাঁকে বাধা দেন পড়ুয়ারা। কিছুটা ধস্তাধস্তিও হয়। শেষপর্যন্ত ফের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিতরে চলে যান উপাচার্য। শেষ খবর অনুযায়ী, যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন পড়ুয়ারা। এরপর ফের তিনি বেরতে গেলে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। অভিযোগ, তাঁর উপর আক্রমণ করা হয়। তাতে তিনি গুরুতর আহত হন তিনি। তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
[ শহরে ‘ছেলেধরা’ গুজবে কাদের ইন্ধন, খোঁজ নিচ্ছে লালবাজার]