রমেন দাস: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে ফের ছাত্র হেনস্তার অভিযোগ। এবার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে চোর সন্দেহে হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই পড়ুয়া। তাঁকে কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই খবর। এই ঘটনায় এখনও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
সূত্রের দাবি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের (Jadavpur University Main Hostel) ডি ব্লকে থাকেন ওই পড়ুয়া। ডি ব্লকেরই আবাসিক এক পড়ুয়ার ল্যাপটপ চুরিকে কেন্দ্র করে গত সোমবার থেকে অশান্তির সূত্রপাত। কম্পিউটার সায়েন্সের স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে চোর অপবাদ দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে হস্টেলে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। অভিযোগ, অপবাদের জেরে কম্পিউটার সায়েন্সের ওই পড়ুয়ার সঙ্গে অন্যান্যদের বাকবিতণ্ডা হয়। তাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম নির্দেশের পর নতুন করে প্রকাশিত নিট ইউজি-র ফল]
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন হস্টেল সুপার। কর্তৃপক্ষ মারফত খবর পেয়ে পৌঁছন মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট চিকিৎসক মিতালি দেবও। তিনি গিয়ে দেখেন ছাত্রটি ঘামছেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেই পরামর্শ দেন মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্টের। ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট 'বাধা'র মুখে পড়েন বলেও অভিযোগ।
যদিও পরে তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে মেন হস্টেলে ফের ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। তিনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল-এ জানান, ''আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। ছাত্রটি এখন ভালো আছেন। আমি খবর নিচ্ছি। ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় দেখছি। তবে কোনও ব়্যাগিং হয়নি। একটা সমস্যা হয়েছিল শুধু। যা দেখানো হচ্ছে, বাড়িয়ে।''
প্রায় একই দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট মিতালি দেব। ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উড়িয়ে তিনি জানান, "ওই খবর পেয়ে আমি মেন হস্টেলে যাই। গিয়ে দেখি ছাত্রদের জটলা। শুনতে পাই, ল্যাপটপ চুরির একটি বিষয়। তারপর অসুস্থ অবস্থায় ওই ছাত্রটিকে দেখি। ছেলেটিকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন বলে মনে করি। এবং ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করি। কিন্তু যখন বেরোচ্ছি কয়েকজন আমাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে ওই ছাত্রটিকে ব়্যাগিং করা হয়নি বলেই বলছি।" এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।