সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে প্রাক্তন বিজেপি নেতা ও বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার সদস্য স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। কিন্তু, একবছরের মধ্যে ভোলবদল করে সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিলেন উত্তরপ্রদেশের শাহাজাহানপুর (Shahjahanpur) -এর আইনের ছাত্রী। এর জেরে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশের রাজ্য রাজনীতিতে। প্রবল চাপের কাছে নতিস্বীকার ওই যুবতী এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। এদিকে এই ঘটনার জেরে আদালতের কাছে ওই যুবতীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আরজি জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন।
মঙ্গলবার এলাহাবাদ হাই কোর্টের নির্দেশে গঠিত লখনউয়ের বিশেষ আদালতে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্বামী চিন্ময়ানন্দ (Chinmayanand) -এর বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের মামলার শুনানি ছিল। সেখানে নিজের করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন ওই যুবতী। নিজের পুরনো অবস্থান থেকে সম্পূর্ণ ভোলবদল করে জানান, প্রাক্তন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে তিনি যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের কোনও অভিযোগই করেননি। তাঁর এই কথা শোনার পরেই সরকারি আইনজীবীরা মিথ্যা অভিযোগ করার জেরে আদালতের কাছে ওই যুবতীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪০ ধারায় মামলা শুরুর আবেদন জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: সামান্য বাড়ল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, মৃতের সংখ্যা পেরল ১ লক্ষ ১০ হাজার]
উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর লখনউয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক পিকে রাই ওই যুবতীর বক্তব্য নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি এর একটি করে কপি ওই ছাত্রী এবং অভিযুক্ত স্বামী চিন্ময়ানন্দের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ অর্থাৎ বুধবার ওই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা।
গত বছরের আগস্টে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে লাগাতর যৌন হেনস্তা ও ধর্ষণের অভিযোগ করেন শাহাজাহানপুরের এক আইনের ছাত্রী। যদিও ধর্ষণের অভিযোগ মামলার চার্জশিটে উল্লেখ করেনি পুলিশ। এদিকে বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হতেই ২৩ বছরের ওই যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চিন্ময়ানন্দকে গ্রেপ্তার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। উলটোদিকে তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয় ওই যুবতীও। পরে এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জামিন পেয়েছিলেন চিন্ময়ানন্দ।