সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলিত রাঁধুনির রান্না করা মিড-ডে মিল (Midday meal) খেতে অস্বীকার করল পড়ুয়ারা। যাকে ঘিরে ঘনাল বিতর্ক। এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) এক স্কুলে। জানা গিয়েছে, সেই স্কুলের ৩৭ জন পড়ুয়ার মধ্যে ৯ থেকে ১০ জন আপত্তি জানিয়েছিল মিড-ডে মিল খেতে। মাসখানেক আগে একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল রাজ্যে। যা নিয়ে দেশব্যাপী বিতর্ক শুরু হয়েছিল। সরকারি তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।
উত্তরাখণ্ডের চম্পাবৎ জেলার সুখিঢাং অঞ্চলের গভর্নমেন্ট ইন্টার কলেজ নামের ওই স্কুলের প্রিন্সিপাল প্রেম সিং জানিয়েছেন, বয়কট থামাতে বাধ্যত ৭ জন পড়ুয়াকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ”দলিত ভোজনমাতার রান্না করা মিডে-ডে মিলের খাবার কয়েকজন পড়ুয়া খেতে অস্বীকার করেছিল। ওরা বাড়ি থেকেই খাবার নিয়ে আসত। আমরা ওদের থামাতে দলিত পড়ুয়াদের সঙ্গে বসে খেতে নির্দেশ দিই। অবশেষে এই পদক্ষেপ করেছি আমি।”
[আরও পড়ুন: ‘দেশে কেরোসিন ছড়াচ্ছে BJP, আগুনের ফুলকি পেলেই…’, লন্ডনে দাঁড়িয়ে তোপ রাহুলের]
গত বছরের ডিসেম্বরেও এমনই এক বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছিল। ৩২ বছরের সুনীতা দেবী নামের এক রাঁধুনির রান্না করা মিড-ডে মিল ঘিরেও বিতর্ক ঘনিয়েছিল। ৪০ জন পড়ুয়া মিড-ডে মিল চা খেতে অস্বীকার করে। যার জেরে শেষ পর্যন্ত চাকরি হারাতে হয় তাঁকে। এরপরই বিতর্ক ঘনিয়ে ওঠে। শেষে হস্তক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং। কাজে পুনর্বহাল করা হয় ওই রাঁধুনিকে। এরপর ফের পড়ুয়ারা বয়কট শুরু করে। শেষ পর্যন্ত করোনার ধাক্কায় লকডাউন শুরু হলে বিতর্কে সাময়িক বিরতি পড়ে।
বারবার এই ধরনের বয়কটের ঘটনায় উদ্বিগ্ন সমাজবিদরা। তাঁদের মতে, এভাবে দলিত রাঁধুনির রান্না করা খাবার খেতে অস্বীকার করার ঘটনায় সমাজে ভুল বার্তা যায়। এপ্রসঙ্গে আলমোরার এক সমাজকর্মী পি সি তিওয়ারি জানিয়েছেন, ”এই ধরনের ঘটনার জন্য আসল দায় রাজনৈতিক দল ও সমাজব্যবস্থার।”