সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগেই দেশজুড়ে মাতৃশক্তির আরাধনা হল। দেশের মেয়েদের অগ্রগতির জন্য একের পর এক প্রকল্প আনছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতে কি! আজও জন্মের পর মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে। স্রেফ কন্যা সন্তানে আপত্তি। এই কারনেই এক চরম নৃশংসতার সাক্ষি রইল উত্তরপ্রদেশ (UttarPradesh)
রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার করা হল বস্তাবন্দি সদ্যোজাতকে। একটি নয়, তিন-তিনটি বস্তায় মুড়ে ফেলে রাখা হয়েছিল রাস্তায়। সারারাত তীব্র ঠান্ডায় রাস্তার পাশে পড়ে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে সে। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই সদ্যোজাত।
[আরও পড়ুন : বিহারে বেশিদিন টিকবে না এনডিএ সরকার! মহাজোটে আসুন, নীতীশকে আহ্বান আরজেডির]
উত্তরপ্রদেশের রাজধানী থেকে ৮৫ কিলোমিটার দূরের মীরাটের ঘটনা। অভিযোগ, সদ্যোজাতের বাবা-মা তিনটি বস্তার মধ্যে ভরে তাকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে গিয়েছিলেন। যাতে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। আবার উত্তরপ্রদেশের তীব্র ঠান্ডায় তার মৃত্যুও হতে পারত। কিন্তু ওই যে কথা আছে, রাখে হরি তো মারে কে!
রাস্তার ধার থেকে শিশুর তীব্র কান্নার আওয়াজ শুনতে পান পথচারীরা। সেই শব্দ শুনেই বস্তার ভিতর থেকে ওই একরত্তিকে উদ্ধার করেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, সদ্যোজাতের কান্না শুনে পথচারীরা বস্তার মুখ খুলছেন। পথচারীদের কথায়, এরা কী ধরণের বাবা-মা! মৃত্যু মুখে সন্তানকে ফেলে পালিয়ে যেতে পারেন কীভাবে? আপাতত শিশুকন্যা সুস্থ আছে বলেই খবর। তার চিকিৎসা চলছে।
[আরও পড়ুন : ‘ওয়েইসি জিন্নার মতোই, AIMIM’কে ভোট দিলে ভারত বিরোধিতা করা হবে’, বিস্ফোরক তেজস্বী সূর্য]
মীরাট পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শতাব্দিনগরের রাস্তার পাশে সদ্যোজাত কন্যা পড়েছিল। পথচারীদের তৎপরতায় তাকে উদ্ধার করা হয়। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে। সুস্থই রয়েছে সে। তবে কে বা কারা এ হেন ঘটনা ঘটালো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’-এর মতো প্রকল্প আনছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভ্রুণ বা শিশুকন্যার মৃত্যু রুখতে প্রচার চলছে। কিন্তু তাতে যে কাজের কাজ কিছুই হয়নি, এবার তা ফের প্রমাণিত হয়ে গেল।