সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ”আবার সে এসেছে ফিরিয়া।” সুকুমার রায়ের বিখ্যাত লাইনটা ব্যবহার করা যায় শুভাশিস রায়চৌধুরীর (Subhasish Roy Chowdhury) ক্ষেত্রে। উপরের লাইনটা একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বললে বলাই যায়, আবারও তিনি ফিরছেন ইস্টবেঙ্গলে। নতুন মরশুমে লাল-হলুদের গোল আগলাবেন বহু যুদ্ধের সৈনিক শুভাশিস। ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে লাল-হলুদ জার্সি পরার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন তিনি।
ইস্টবেঙ্গল এবার জাতীয় দলের প্রাক্তন কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনকে (Stephen Constantine) কোচ করেছে। জাতীয় দলে সাহেব কোচের অধীনে খেলেছেন শুভাশিস। ইস্টবেঙ্গল আবার শুভাশিসের কেরিয়ারের প্রথম ক্লাবও। পরেও একাধিকবার তিনি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলেছেন। সেই ক্লাবের জার্সিই আবার পরতে চলেছেন দীঘল চেহারার এই গোলকিপার।
[আরও পড়ুন: ‘শচীন পাজির সেঞ্চুরির রেকর্ড ছোঁবই’, ২৪ বছর বয়সেই বলেছিলেন বিরাট!]
আন্তোনিও লোপেজ হাবাস তখন এটিকের দায়িত্বে। সেই সময়ে কলকাতার দলের বারের নীচে দাঁড়িয়ে দলকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। সেবার হাবাসের কোচিংয়ে কলকাতার ফ্র্যাঞ্চাইজি আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেই চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ছিলেন শুভাশিস। তার পরে আইএসএলের একাধিক ক্লাবের হয়ে খেলেছেন তিনি। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডে খেলার সময়ে তাঁকে নিয়ে চর্চাও হয়েছিল খুব। সেই শুভাশিস বলছেন, ”ইস্টবেঙ্গলে ফিরতে পেরে ভালই লাগছে।” উল্লেখ্য, নর্থ-ইস্টের বারের নীচে এবার দাঁড়াবেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। গত মরসুমে তিনি ইস্টবেঙ্গলে ছিলেন।
কলকাতা লিগের (Kolkata Premier League) জন্য সন্তোষজয়ী কেরালিয়ান কোচ বিনো জর্জকে আগেই ঠিক করে ফেলেছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। বুধবার ক্লাবের তরফ থেকে সরকারি ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আইএসএল এবং সুপার কাপের জন্য স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের হাতে উঠতে চলেছে ইস্টবেঙ্গলের রিমোট কন্ট্রোল। সূত্রের খবর, ভারতে আসার জন্য ভিসার আবেদনও করে দিয়েছেন কনস্ট্যানটাইন।
আইএসএলের প্রথম বছর থেকেই কনস্ট্যানটাইনকে কোচ করে আনার জন্য আগ্রহী ছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। এর পিছনে একটাই কারণ, ভারতীয় ফুটবলে স্টিফেনের সাফল্য। এগারো বছর ভারতের জাতীয় দলে কোচিং করিয়েছেন স্টিফেন। এই দীর্ঘসময়ে ভারতীয় দলকে এশিয়ান কাপ খেলানো ছাড়াও তিনি জিতেছেন এলজি কাপ ও সাফ কাপ। ফলে স্টিফেনকে বেছে নেওয়ার পিছনে লাল-হলুদ কর্তাদের যুক্তি ছিল, এমন একজন বিদেশিকে কোচ হিসেবে বেছে নিলে ভাল হয়, যিনি ভারতীয় ফুটবল পরিকাঠামো ও ভারতীয় ফুটবলারদের হাতের তালুর মতো চেনেন। আর সাহেব কোচের নাম সরকারি ভাবে ঘোষণার পরেই তাঁর পুরনো ছাত্ররও ইস্টবেঙ্গলে ফেরার খবর প্রকাশ্যে এল।