সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিখ্যাত টাইটানিকের (Titanic) ধ্বংসাবশেষ ঘুরে দেখতে গিয়েছিলেন একদল পর্যটক। কিন্তু তাঁদেরও গ্রাস করল ভয়ংকর সমুদ্র। জানা গিয়েছে, পাঁচ পর্যটককে নিয়ে যাওয়া সাবমেরিনটি আটলান্টিক মহাসাগরে (Atlantic Ocean) জলের তলায় নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই আমেরিকা (USA) ও কানাডার (Canada) নৌসেনার নেতৃত্বে উদ্ধারকাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, সমুদ্রের প্রায় সাড়ে ১২ হাজার ফুট নীচে আটকে রয়েছে সাবমেরিনটি।
জানা গিয়েছে, ওশানগেট নামে একটি সংস্থার তরফে টাইটানিকের ধ্বংসাবশে ঘুরিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। চারদিনের মতো অক্সিজেন মজুত করে সমুদ্রের গভীরে চলে যায় এই সাবমেরিন। নাবিক-সহ পাঁচজন থাকতে পারেন এই সাবমেরিনে। গত রবিবার যাত্রা শুরু করেন পাঁচজন। কিন্তু জলের তলায় যাওয়ার মাত্র পৌনে দু’ঘণ্টা পরেই স্থলভাগের সঙ্গে সাবমেরিনের সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: লরির ধাক্কায় ভাঙল রথের চাকা, প্রতিবাদে দাসপুরে রাজ্য সড়ক অবরোধ, জ্বলল টায়ার]
সঙ্গে সঙ্গেই দু’টি বিমান ও একটি সাবমেরিন নিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। আমেরিকা ও কানাডার নৌসেনার নেতৃত্বে চলছে উদ্ধারকাজ। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সাবমেরিনটির হদিশই মিলছে না। মার্কিন সীমান্ত থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। আপাতত ওই এলাকা ঘিরেই চলছে তল্লাশি। তবে উদ্ধারকারীদের চিন্তা বাড়াচ্ছে সাবমেরিনে মজুত অক্সিজেনের পরিমাণ। চারদিন কেটে যাওয়ার পর ওই পাঁচ যাত্রীর অবস্থা কী হবে, তা ভেবেই উদ্বিগ্ন উদ্ধারকারীরা।
পর্যটকদের মধ্যে অন্যতম ব্রিটিশ ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং। সাবমেরিনে ওঠার আগের দিনই এই অভিযান নিয়ে উচ্ছ্বসিত একটি টুইট করেছিলেন তিনি। গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে আয়োজক সংস্থা ওশানগেটের দিকে। কিন্তু সাবমেরিনের বিপত্তি নিয়ে তাদের তরফে এখনও কিছু বলা হয়নি।