গৌতম ব্রহ্ম: ট্রেজারি অফিস বা ব্যাংকে যাওয়ার দরকার নেই। দিতে হবে না লম্বা লাইন। এবার বাড়ি বসেই দাখিল করা যাবে ‘লাইফ সার্টিফিকেট’। স্মার্টফোন থাকলেই পেনশনভোগীরা এই সুবিধা নিতে পারবেন। সম্প্রতি এমনই বিজ্ঞপ্তি জারি করল অর্থদপ্তর।
রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কেবলমাত্র ফেস অথেন্টিকেশনের মাধ্যমে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া যাবে। তার জন্য দরকার শুধু একটা স্মার্টফোন। নবান্ন সূত্রে খবর, নতুন পদ্ধতির পাশাপাশি চালু থাকছে আগের দুই পদ্ধতিও। পদ্ধতি এক, পেনশনার বা ফ্যামিলি পেনশনার নিজে অথবা তার নিকট আত্মীয় একজনকে ব্যাংক অথবা ট্রেজারি অফিসে লাইফ সার্টিফিকেটের ফিজিক্যাল বা হার্ড কপি জমা করতে হয়। পদ্ধতি দুই, পেনশনার অথবা ফ্যামিলি পেনশনারকে বায়োমেট্রিক ডিভাইসের সুবিধাযুক্ত ট্রেজারি অফিস অথবা ব্যাংকে গিয়ে জীবনপ্রণাম পোর্টালে তথ্য জমা করতে হয়।
এই তিনটির মধ্যে যেকোনও একটি পদ্ধতি বেছে নিয়ে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করতে পারবেন রাজ্য সরকারের পেনশনার এবং ফ্যামিলি পেনশনাররা। নতুন ফেস অথেন্টিকেশন পদ্ধতির ফলে বয়স্ক পেনশনাররা খুবই উপকৃত হবেন। বিশেষ করে যাদের হাঁটচলা করতে সমস্যা হয় বা যারা রোগশয্যায় রয়েছেন। বাড়ি বসে স্মার্টফোনের মাধ্যমেই তথ্য জমা করা যাবে।
[আরও পড়ুন: ‘আমি নির্দোষ’, দোষী সাব্যস্তের পরেও নিজেকে নিরাপরাধ দাবি বহরমপুরের কলেজ ছাত্রীর খুনির]
প্রত্যেক বছর নভেম্বরে মাসে যেমন জমা করতে হয় লাইফ সার্টিফিকেট। সামনের নভেম্বর থেকে বাড়িতে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে ফেস অথেন্টিকেশন করে জমা করা যাবে লাইফ সার্টিফিকেট। অর্থাৎ চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে এই বিজ্ঞপ্তি কার্যকর হবে। তবে যথাসময়ে লাইফ সার্টিফিকেট জমা না করার কারণে যাঁদের পেনশন পেমেন্ট অর্ডার বা পিপিও সাসপেন্ড হয়েছে তাঁরাও এই পদ্ধতিতে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করে পুনরায় পেনশন চালু করতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে এই অর্ডার ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে কার্যকরী হবে। অতিমারীর সময় কেন্দ্রীয় সরকার অনেকটা এই ধাঁচেই ‘ডোরস্টেপ ব্যাংকিং’ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। একটি অ্যাপের সাহায্যে নিজের ব্যাংকের নাম ও অন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ‘সাবমিট’ করলেই এজেন্টরা বাড়ি পৌঁছে যেত। কিন্তু রাজ্য আরেক ধাপ এগিয়ে পেনশনভোগীদের আত্মনির্ভর করার ব্যবস্থা করল।