সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আত্মহত্যার প্রবণতা ইদানিং বেড়েছে। দিন যত গড়াচ্ছে, সমাজ যত আধুনিক হচ্ছে, আত্মঘাতী হওয়ার প্রবণতা তত বাড়ছে। এমনই বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। WHO-র এই চাঞ্চল্যকর রিপোর্টে প্রকাশের পর বেশ অবাক মনোবিদ থেকে সাধারণ মানুষ। বর্তমানে অবসাদ মানুষের মধ্যে এতটাই গেঁথে গিয়েছে যে অনেকেই মনের ব্যারাম দূর করতে মনোবিদদের সাহায্য নিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে আত্মহত্যার প্রবণতা কমার জায়গায় নিত্য বেড়েই চলছে বলে জানাচ্ছে WHO। প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন করে আত্মঘাতী হচ্ছেন।
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ছিল আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। ঠিক তার আগেই এমন রিপোর্ট পেশ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে আত্মহত্যা করার জন্য গলায় দড়ি দেওয়া, বিষ খাওয়া বা নিজেকে গুলি করার কথা ভাবেন মানুষ। WHO-এর রিপোর্টে জানানো হয়েছে, আত্মহত্যা সামাজিক সমস্যা। সমস্ত বয়স, লিঙ্গ ও ধর্ম নির্বিশেষে এই সমস্যা প্রতিনিয়ত বেড়ে যাচ্ছে। ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি। এদের মধ্যে আবার যারা দুর্ঘটনাগ্রস্ত, তারাই বেশি আত্মঘাতী হতে চায়। এরপর আসে মেয়েরা। ১৫-১৯ বছর বয়সী মেয়েদের মধ্যেও আত্মঘাতী হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কিশোররা।
[ আরও পড়ুন: একই মণ্ডপে পালিত হল গণেশ চতুর্থী ও মহরম, সম্প্রীতির নজির এই গ্রামে ]
সব মিলিয়ে প্রতি বছর প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ আত্মঘাতী হয় বলে রিপোর্টে প্রকাশ। তার মধ্যে ১ লক্ষ ৩৫ হাজারই ভারতীয়। তবে ভারতের জনসংখ্যার কথা মাথায় রাখলে এই হার খুব বেশি নয়। এদিক থেকে এগিয়ে আমেরিকা। সেখানে প্রতি ১ লক্ষে আত্মহত্যার হার ১১.৫ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে আত্মহত্যা নিয়ন্ত্রণের একটা ফলপ্রসূ উপায় হতে পারে বিষ বা কীটনাশকের ব্যবহারে লাগাম টানা। কেন না বিশ্বের অধিকাংশ আত্মহত্যা বিষ খেয়েই হয়। ভারতে এই পরিসংখ্যান ৩৩ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে বিশ্বে দ্বিতীয় জনপ্রিয়তম আত্মহননের পন্থা হল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা। যা ভারতে ২৬ শতাংশ আত্মহত্যার কারণ। তবে উপযুক্ত কাউন্সিলিং ও চিকিৎসার মাধ্যমে অবসাদ থেকে মুক্তি সম্ভব। আর তা হলেই আত্মহত্যার প্রবণতা কমবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
[ আরও পড়ুন: নেই তাজিয়া-শোভাযাত্রা, বেনজির নিস্তব্ধতায় মহরম কাটল কাশ্মীরে ]
The post প্রতি ৪০ সেকেন্ডে আত্মঘাতী হচ্ছেন একজন, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট WHO-এর appeared first on Sangbad Pratidin.