সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গর্ভাবস্থার ৩০ সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। তার পরেও গর্ভপাতের অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। জানা গিয়েছে, মাত্র ১৪ বছর বয়সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে ধর্ষিতা। কিন্তু ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও গর্ভপাতে সায় দিল শীর্ষ আদালত। যদিও বম্বে হাই কোর্ট এই গর্ভপাতে সায় দেয়নি।
ভারতীয় আইন অনুযায়ী, ২৪ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে আর গর্ভপাত করানো যায় না। সেই আইন মোতাবেক সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর গর্ভপাতের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল বম্বে হাই কোর্ট। গত ৪ এপ্রিল নাবালিকা ও তাঁর মায়ের আবেদন খারিজ করেছিল উচ্চ আদালত। তাদের যুক্তি, সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বার গর্ভপাতে জীবিত শিশুর জন্ম হবে। মেয়ের কোনও রকম শারীরিক পরীক্ষা ছাড়াই মেডিক্যাল বোর্ড নিজেদের মতামত জানিয়েছিল বম্বে হাই কোর্টকে। তার ভিত্তিতেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: মা-বোনদের মঙ্গলসূত্র কেড়ে মুসলিমদের দেবে কংগ্রেস! মোদির মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়]
শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন নাবালিকা ও তার মা। গত শুক্রবার বেনজির ওই আবেদন শোনেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালার বেঞ্চ। তাঁরা জানান, ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া নাবালিকার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়নি মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্টে। এর পরই নতুন করে চেকআপের জন্য নাবালিকাকে হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। গর্ভপাতে নাবালিকার ক্ষতি হতে পারে কিনা, মহারাষ্ট্র প্রশাসনের থেকে তাও জানতে চেয়েছে আদালত।
অবশেষে সোমবার মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে বলা হয়, গর্ভপাতের অস্ত্রোপচার করাতে গেলে নাবালিকার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে ঠিকই। কিন্তু সন্তানের জন্ম দিতে গেলে তার প্রাণের আশঙ্কা আরও অনেক বেশি। তাই গর্ভপাতের পক্ষেই সায় দেয় মেডিক্যাল বোর্ড। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছে ওই কিশোরীকে। ৩০ সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বেনজিরভাবে গর্ভপাতের অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট।