সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গরমের ছুটি মিটতেই নজির গড়ল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। একদিনে ৪৪টি আলাদা আলাদা মামলার রায় ঘোষণা করল দেশের শীর্ষ আদালত। যা সাম্প্রতিক অতীতে রেকর্ড।
এই ৪৪টি মামলা আলাদা আলাদা বিষয়ের। কোনওটি ফৌজদারি মামলা (Criminal Case), কোনওটি রাজনৈতিক মামলা (Political Case), কোনওটি গার্হস্থ্য হিংসার মামলা, আবার কোনওটি আর্থিক তছরুপের। এত ভিন্ন ভিন্ন মামলার রায় একদিনে দেওয়াটা সত্যিই বিরল। এই ৪৪টি মামলার মধ্যে একা বিচারপতি এম আর শাহ (MR Shah) ২০টি মামলার রায় ঘোষণা করেছেন। সেটাও একটা রেকর্ড। শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন বিচারপতিরা বলছেন, একসঙ্গে এতগুলি মামলার রায় দেওয়াটা সহজ কাজ নয়। শীর্ষ আদালতের প্রতিটি রায় দেশের বিচারব্যবস্থার উপর তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলে। পরবর্তীকালে এই রায়গুলিকে ল্যান্ডমার্ক হিসাবে ধরা হয়। সুতরাং অনেক ভেবেচিন্তে রায় দিতে হয়। একদিনে ৪৪টি মামলার ফয়সলা হওয়াটা সতিই ঐতিহাসিক।
[আরও পড়ুন: দলে ভাঙনের আশঙ্কা, বিধায়কদের বহিষ্কার করতে চেয়ে স্পিকারকে চিঠি গোয়া কংগ্রেসের]
আসলে সুপ্রিম কোর্টের গরমের ছুটিটি বেশ দীর্ঘ। ২৩ মে শুরু হয়ে ১০ জুলাই এই ছুটি শেষ হয়েছে। তবে বিচারপতিদের এই ছুটি মানে কিন্তু কাজ থেকে বিরতি নয়। এই ছুটির সময়ও তাঁরা বিভিন্ন মামলা নিয়ে পড়াশোনা করেন এবং মামলাগুলি খতিয়ে দেখেন। জরুরি মামলা থাকলে তার শুনানিও হয়। ছুটির মধ্যে আদালতের কর্মীরাও রায় লিখতে সাহায্য করেন বিচারপতিদের। শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন বিচারপতিরা বলছেন, ছুটির সময় মামলাগুলি নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পাওয়া যায়। সেকারণেই রায়গুলি দেওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: ‘সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন’, সংসদ ভবনে অশোকস্তম্ভ উন্মোচন নিয়ে মোদিকে আক্রমণ ওয়েইসির]
হিসাব বলছে, এই মুহূর্তে দেশের বিচারব্যবস্থার বিভিন্ন স্তরে অন্তত ৪ কোটি ৭০ লক্ষ মামলা ঝুলে রয়েছে। এর বেশিরভাগটাই জেলা আদালতে। তবে হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেও বহু মামলা ঝুলে রয়েছে। এর একটা বড় কারণ অবশ্য বিচারপতির অভাব, কর্মীর অভাব। সেসব অভাব অভিযোগ সত্ত্বেও সুপ্রিম কোর্ট যেভাবে নজির গড়ল, সেটা নিম্ন আদালতগুলির জন্য নজির হয়ে থাকতে পারে।