সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে বড় সাফল্য পেলেন মহিলারা। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলার পরে মহিলাদের জন্য সমান হারে পেনশনের ব্যবস্থা করতে বায়ুসেনাকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেই সঙ্গে আগ্রহী মহিলাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করার পক্ষেও রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ৩২ জন মহিলা বায়ুসেনা আধিকারিক এই মামলা দায়ের করেছিলেন। আদালতের রায়ে স্বভাবতই খুশি তাঁরা।
বায়ুসেনার নিয়ম অনুযায়ী, মহিলারা সারাজীবন সেনাবাহিনীতে কাজ করতে পারবেন না। নির্দিষ্ট সময়ের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বাধ্যতামূলকভাবে তাঁদের অবসর নিতে হবে। মামলাকারী এই ৩২ জন মহিলা আধিকারিক জানিয়েছিলেন, মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বায়ুসেনাতে কাজ করতে ইচ্ছুক ছিলেন তাঁরা। কিন্তু কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁদের কাজের মেয়াদ বাড়ানোর কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি।
[আরও পড়ুন: আর মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয় বিমানেও, করোনা সংক্রমণ তলানিতে নামতেই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের]
তবে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আগ্রহী ও সক্ষম থাকলে মহিলা আধিকারিকরাও সারাজীবন বায়ুসেনাতে কাজ করতে পারবেন। কিন্তু এই রায়ের ফলে মামলাকারী মহিলা আধিকারিকরা আবার সেনাবাহিনীতে ফিরে আসতে পারবেন না। তবে তাঁদের জন্য যথাযথ পেনশনের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অন্তত কুড়ি বছর সেনাবাহিনীতে কাজ করার পরে আধিকারিকরা যে হারে পেনশন পান, সেই হারেই মামলাকারীদের পেনশন দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, মামলাকারীদের মধ্যে তিনজন মহিলা আধিকারিক তাঁদের স্বামীর মৃত্যুর পরে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ২০২০ সালের ববিতা পুনিয়া মামলার বিষয়টি মাথায় রেখেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। ববিতার মামলার ক্ষেত্রে বলা হয়েছিল, ভারতীয় সেনার তিন বিভাগেই মহিলাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়ে থাকে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ভিত্তিতে আগামী দিনে বায়ুসেনাতে যোগ দিয়ে সারাজীবন কাজ করতে পারবেন মেয়েরা, এমনটাই আশা করা যাচ্ছে।