সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র পাঁচ মাসেই কীভাবে জামিন পেলেন মদ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কে কবিতা। নেপথ্যে বিজেপির হাত নয় তো? প্রশ্ন তুলেছিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। যার জেরে তাঁকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের সাফ কথা, এটা একজন মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা হতে পারে না।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রেবন্তকে তোপ দেগে বলে, "একবার দেখুন আপনি কী ভাষায় কথা বলেছেন। আপনি নিজে পড়েছেন কী বলেছেন? এটা একজন মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা!" কংগ্রেসের ওই মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে বিচারপতি বি আর গভই বলেন, "এবার কি আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে? আমরা কারও সমালোচনার ধার ধারি না। নিজেদের কাজটা সজ্ঞানেই করি।"
[আরও পড়ুন: গলায় গেরুয়া, মারমুখী মেজাজ! নবান্ন অভিযানে অশান্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার তরুণী]
কেন এত সমালোচনা রেবন্ত রেড্ডির? আসলে আবগারি দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবার জামিন পেয়েছেন বিআরএস নেত্রী কে কবিতা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়েকে মার্চ মাসে দিল্লি আবগারি মামলায় গ্রেপ্তার করে ইডি। এর একমাস পর তাঁকে দ্বিতীয়বার গ্রেপ্তার করে সিবিআই। সেই জোড়া মামলার ফের কাটিয়ে সুপ্রিম নির্দেশে জামিন পেয়েছেন কবিতা।
[আরও পড়ুন:সুকান্ত দিলীপের সঙ্গে ২ ঘণ্টার বৈঠক রাজ্যপালের, তার পরই তড়িঘড়ি দিল্লি যাচ্ছেন বোস]
কবিতাকে মুক্তি দেওয়ার সেই সুপ্রিম নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত। তিনি বলেন, "মণীশ সিসোদিয়া জেল থেকে ছাড়া পেলেন ১৫ মাস পর। অরবিন্দ কেজরিওয়াল এখনও জেলে। অথচ কবিতা পাঁচ মাস পরই ছাড় পেয়ে গেলেন। এর পিছনে বিজেপির সমর্থন থাকতে পারে।" দেখতে গেলে ঘুরিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। তাতেই ক্ষুব্ধ শীর্ষ আদালত।