shono
Advertisement

ঘৃণাভাষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে শাস্তি! কেন্দ্রকে সতর্কতা সুপ্রিম কোর্টের

সরকারের কাছে নূন্যতম বিজ্ঞান সচেতনতা কি আশা করা যায় না? প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের
Posted: 06:51 PM Oct 21, 2022Updated: 06:51 PM Oct 21, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঈশ্বরকে কোথায় নামিয়ে এনেছি আমরা? ২১ শতকে এসে মানুষের কাছে নূন্যতম বৈজ্ঞানিক সচেতনতা আশা করা যায়, এমনটাই মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দুই বিচারপতির বেঞ্চ। মুসলিমদের আক্রমণ করা ও তাদের ভয় দেখানোর প্রসঙ্গে একটি মামলার শুনানি চলছিল শুক্রবার। সেখানেই এই মন্তব্য করেছেন বিচারপতি কে এম জোসেফ ও হৃষিকেশ রায়। সেই সঙ্গে আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়ে শীর্ষ আদালত বলেছে, এই ধরনের অভিযোগ পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের। 

Advertisement

সংবিধান অনুসারে ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে শঙ্কিত শীর্ষ আদালত। দুই বিচারপতির বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, “এটা ২১ শতক। কিন্তু ধর্মের নামে আমরা কোথায় এসে পৌঁছেছি?” শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, প্রশাসনের কাছে ঘৃণাভাষণ (Hate Speech) নিয়ে অভিযোগ দায়ের হলে তার ব্যবস্থা নিতেই হবে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের। যদি তাঁরা পদক্ষেপ না করেন, তাহলে আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছে প্রশাসন।

[আরও পড়ুন: নজরে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ! আরএসএস প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ যোগী আদিত্যনাথের]

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির (Central Government) কাছে ঘৃণাভাষণ নিয়ে জবাব তলব করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। পরেরদিনই দেশের সকল প্রশাসনের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিল শীর্ষ আদালত। মুসলিমদের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশাসনগুলিকে যেন ঘৃণাভাষণের অভিযোগের সঠিক তদন্ত করতে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আবেদনকারীদের হয়ে এই মামলা লড়ছিলেন কপিল সিব্বাল। সাম্প্রতিককালে বিজেপি নেতারা কিভাবে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক মন্তব্য করেছেন, তার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন।

প্রসঙ্গত, ভারত সফরে এসে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছিলেন, ভারতে ঘৃণাভাষণের অভিযোগের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের নির্বাচিত সদস্য হিসাবে এমন অভিযোগ থাকা একেবারেই কাম্য নয়। গুতেরেসের এহেন মন্তব্যের মাত্র দু’দিন পরেই কড়া বার্তা দিল শীর্ষ আদালত।

[আরও পড়ুন:হিন্দু ধর্মের ‘অন্ধকার’ দূর করতে মোদিকে ব্যবহার করছে RSS! কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে বিতর্ক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement