সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিচারক ও বিচারপতি নিয়োগে অযথা সময় নষ্ট করার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তোপের মুখে পড়ল কেন্দ্র। শীর্ষ আদালতে দুই বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বলেন, এই অভিযোগ নিয়ে অনেক কিছুই বলা যায়। পরবর্তী শুনানির সময়ে আর চুপ করে থাকবেন না বলে কেন্দ্রের আইনজীবীকে হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, কলেজিয়াম প্রথার মাধ্যমে বিচারপতি ও বিচারক নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্র ও বিচার বিভাগের দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে।
বেশ কয়েকটি আদালতের বিচারক ও বিচারপতি নিয়োগ করতে কেন্দ্র সময় নষ্ট করছে, এই নিয়ে মামলা দায়ের করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বলেন, “হাই কোর্ট থেকে সুপারিশ করা ৮০জনের নাম গত ১০ মাস ধরে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র থেকে সেই নামগুলো কলেজিয়ামের কাছে পাঠানোই হয়নি।”
[আরও পড়ুন: চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল যাবে অভিষেকের অফিস ঘেঁষেই, আদালতে খারিজ রাজ্যের আরজি]
বিচারপতির মন্তব্যের পরে কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমনি এক সপ্তাহ সময় চেয়ে নেন আদালতের কাছে। সুপ্রিম কোর্ট দুই সপ্তাহের সময় দিয়েছে কেন্দ্রের আইনজীবীকে। আগামী ৯ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তবে সময় দিয়েও কেন্দ্রের আইনজীবীকে হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি সঞ্জয় কউল। তিনি বলেন, “আমার অনেক কিছুই বলার আছে, কিন্তু আপাতত নিজেকে আটকে নিলাম। যেহেতু কেন্দ্রের আইনজীবী সময় চেয়েছেন তাই চুপ করে রয়েছি। কিন্তু পরের শুনানির দিন আর চুপ করে থাকব না।”
প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম প্রথার বিরোধিতা করেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম বদলায়। বিচারপতি নিয়োগের যে প্রক্রিয়া এখন চলছে, সেটাও পালটানো দরকার। দরকার পড়লে সংবিধান সংশোধন করতে হবে, এমনটাও বলেছেন রিজিজু। তার পর থেকেই বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে সংঘাত চলছে কেন্দ্র ও বিচার বিভাগের মধ্যে।