সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ৩ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশের ২৮টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্যের রাজনীতি। এর মাঝেই গত ২০ তারিখ করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধির কারণে জনসভা ও জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের গোয়ালিয়র বেঞ্চ। সোমবার সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তবে নির্বাচন কমিশনকে কঠোরভাবে করোনা বিধি মেনে চলারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ২০ অক্টোবর উপনির্বাচন (bye-polls) -এর প্রচার সংক্রান্ত একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে শুধুমাত্র ভারচুয়ালি প্রচার করার নির্দেশ দেয় মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট (Madhya Pradesh) -এর গোয়ালিয়র বেঞ্চ। পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, কোনও প্রার্থী জনসভা বা সমাবেশ করতে পারবেন না। শুধুমাত্র ভারচুয়ালি প্রচার চালাতে হবে। তবে যেসব জায়গায় তা সম্ভব নয় সেখানে জেলাশাসকের অনুমতি নিয়ে সভা করা যেতে পারে। অনুমতি থাকবে নির্বাচন কমিশনেরও। পাশাপাশি সভাতে কতজন উপস্থিতি হতে পারে তা অনুমান করে দ্বিগুণ পরিমাণ ফেস মাস্ক ও স্যানিটাইজারের টাকা আগেই প্রশাসনের কাছে জমা করতে হবে প্রার্থীকে। আদালতের এই রায়ের পরে বিতর্ক তৈরি হয়। রাজনৈতিক দলগুলির দাবি মেনে এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আলাদাভাবে আবেদন করেন বিজেপির দুই প্রার্থীও।
[আরও পড়ুন: পম্পেওর ভারত সফরে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব, স্বাক্ষরিত হতে পারে নয়া প্রতিরক্ষা চুক্তি]
সোমবার সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এর ফলে ভারচুয়াল সভার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনসভা করার সুযোগ পাবে রাজনৈতিক দলগুলি। তবে এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে কড়া নজরদারি চালাতে বলেছে এএম খান উইলকরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। যদি সরকারি স্বাস্থ্যবিধি ঠিকঠাক মেনে চলা হত তাহলে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হত না বলেও উল্লেখ করেছে।