সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় প্রাণদণ্ডের সাজা হল দোষী সাব্যস্তর। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে গুজরাট হাই কোর্ট (Gujarat High Court)। সাজাপ্রাপ্তের নাম অনিল যাদব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে ১৪ অক্টোবর সন্ধের সময় আচমকা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল তিন বছরের মেয়েটি। বাড়ির লোকজন প্রচুর খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। পরে পাশের একটি বন্ধ বাড়ি থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ মৃত শিশুর প্রতিবেশী বছর কুড়ির অনিল যাদবকে বিহার থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদতে বিহারের বাসিন্দা অনিল কাজের সূত্রে সুরাটে বসবাস করত। আর থাকত মৃত শিশুটির ফ্ল্যাটের নিচে থাকা অন্য একটি ঘরে।
[আরও পড়ুন: ‘সব ভারতীয়কে হিন্দু বলা ঠিক নয়’, ভাগবতকে পালটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর!]
অনিলকে জেরা করে জানা যায়, তিন বছরের ওই শিশুটিকে ভুলিয়ে নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে অনিল। তারপর তাকে খুন করে একটি বস্তার মধ্যে ভরে ফেলে। পরে সবাই যখন খোঁজাখুঁজি করছে তখন বস্তাটিকে একটি বন্ধ বিল্ডিংয়ের মধ্যে ফেলে দিয়ে বিহারের বাড়িতে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে পুলিশ। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে অনিলকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রাণদণ্ডের নির্দেশ দেন সুরাটের বিশেষ আদালত। এর বিরুদ্ধে গুজরাট হাই কোর্টে আবেদন করে অনিল। কিন্তু, শুক্রবার নিম্ন আদালতের রায়েরই পুনরাবৃত্তি করলেন গুজরাট হাই কোর্টের বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: উত্তেজিত জনতার হাত থেকে পুলিশকর্মীকে বাঁচিয়ে ‘হিরো’ মুসলিম প্রৌঢ়]
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ঘটনার কিছুদিন আগেই গুজরাটের সাবরকান্তা এলাকায় ১৪ মাসের শিশুকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এরপরই বিহার ও উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা মানুষদের ওপর হামলা চালাতে শুরু করেন গুজরাটের কিছু মানুষ। বিষয়টিকে নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। পরে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
The post সুরাটে শিশুকন্যাকে ধর্ষণের পর খুন, দোষীকে ফাঁসিতে ঝোলানোর নির্দেশ আদালতের appeared first on Sangbad Pratidin.