সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) চিকিৎসা এবং চিকিৎসার খরচ নিয়ে সুসংহত পরিকল্পনা থাকলে অনেক মানুষের মৃত্যু আটকানো যেত। শনিবার দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এমনই রিপোর্ট দিল স্বাস্থ্য বিষয়ক সংসদীয় কমিটি। মহামারী নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা নিয়ে এই প্রথম রিপোর্ট দিল সংসদের কোনও কমিটি। আর তাতে লক্ষাধিক মৃত্যুর জন্য কমবেশি কেন্দ্রকেই দায়ী করা হল।
স্বাস্থ্য বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দাবি, করোনা চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে স্পষ্ট করে কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। বেঁধে দেওয়া হয়নি চিকিৎসার খরচ। যার ফলে বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি অতিমারি পরিস্থিতিতেও চিকিৎসার জন্য ইচ্ছামতো টাকা চেয়েছে। যা সবার পক্ষে দেওয়া সম্ভব হয়নি। সংসদীয় স্থায়ী কমিটি মনে করছে, করোনা চিকিৎসার খরচ নিয়ে যদি দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা করা হত তাহলে অনেক মৃত্যু এড়ানো যেত। সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) সাংসদ রামগোপাল যাদব এই স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান। শনিবার “COVID-19 সংক্রমণ এবং ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক রিপোর্টটি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কইয়া নাইডুর কাছে জমা করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় সংকট করোনা’, G-20 সম্মেলনে বললেন প্রধানমন্ত্রী]
ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণ ক্রমশ বৃদ্ধির ফলে দেশের সরকারি হাসপাতালগুলিতে শয্যার অভাব পড়েছিল। আর বেসরকারি হাসপাতালে যেহেতু প্রচুর খরচ, তাই অনেক মানুষই উপযুক্ত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। কমিটির বক্তব্য, দেশের জনসংখ্যার তুলনায় স্বাস্থ্যখাতে কেন্দ্রের বরাদ্দ অনেক কম। ফলে স্বাস্থ্যব্যবস্থাই ভঙ্গুর। আর এই স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে মহামারীর মোকাবিলা করা যায় না। পরবর্তীকালে এই ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য স্বাস্থ্যখাতে খরচ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। সেই সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালগুলির জন্যও স্থায়ী আচরণবিধি তৈরিতে জোর দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মোদির দূরদৃষ্টিই আর্থিক বিকাশের পথ সুগম করছে, প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা মুকেশ আম্বানির]
প্রসঙ্গত, একটা সময় দেশে করোনা সংক্রমণ বস্তুতই লাগামছাড়া পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে তা আগের তুলনায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। লাগাতার আক্রান্তের সংখ্যার থেকে করোনাজয়ীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় শয্যা সংকট এই মুহূর্তে নেই। তবে, পরবর্তীকালে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে, ফের সমস্যা বাড়তে পারে। তাই আগেভাগে সতর্ক করছে সংসদীয় কমিটি।