shono
Advertisement

রাজ্যের এক কোটি জব কার্ডই ভুয়ো! দিল্লিতে বসে পালটা দাবি শুভেন্দুর

সরকারি রিপোর্ট অবশ্য বলছে, ১০০ দিনের কাজে এগিয়ে বাংলাই।
Posted: 03:04 PM Oct 03, 2023Updated: 03:45 PM Oct 03, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০০ দিনের কাজের বকেয়া আদায়ের দাবিতে দিল্লিতে যখন ‘প্রাণপাত’ করছেন রাজ্যের তৃণমূল নেতৃত্ব, ঠিক একই সময়ে রাজধানীতে বসেই বাংলার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর দাবি, “১০০ দিনের কাজে বাংলায় যে দুর্নীতি হয়েছে, সেটা স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে বড়।”

Advertisement

তৃণমূলের কর্মসূচির পালটা হিসাবে মঙ্গলবার দিল্লিতে শুভেন্দুকে দিয়ে তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক করাল বিজেপি। দিল্লির দলীয় দপ্তর থেকেই শুভেন্দু দাবি করলেন, “যে ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে দিল্লিতে ‘তামাশা’ করছে তৃণমূল (TMC)। সেই ১০০ দিনের কাজের প্রায় ১ কোটি জবকার্ডই ভুয়ো। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সবচেয়ে বেশি ভুয়ো জব কার্ড।” শুভেন্দু জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাবেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ১০০ দিনের কাজে দেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হয়েছে বাংলায়। সঠিক তদন্ত হলে দেখা যাবে স্বাধীনতার পরবর্তী সময় ভারতে এতবড় দুর্নীতি আর হয়নি।

[আরও পড়ুন: জঙ্গলে লুকিয়ে জেহাদিরা, কাশ্মীরে চলছে জোর গুলির লড়াই]

তৃণমূলের ‘দিল্লি চলো’ অভিযানের শুরু থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলে আসছেন, মাত্র কয়েকজনের জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষের টাকা আটকে রাখা যায় না। কিন্তু রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, এই দুর্নীতির পরিমাণটা পাহাড়প্রমাণ। তিনি দাবি করেন, “আধার ও জব কার্ড সংযুক্তকরণের আগে এবং পরের হিসাব দেখলে দেখা যাবে সেই সময় ১ কোটি ৩২ লক্ষের বেশি কার্ড ডিলিট করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১ কোটি কার্ড ডিলিট করার কারণ ‘অজানা’ হিসাবে দেখানো হয়েছে। সব ভুয়ো জবকার্ড।’

[আরও পড়ুন: বিপক্ষের মাঠেই কর্মসূচি, দেশের নজরে তৃণমূল]

কিন্তু শুভেন্দু যতই ‘ভুয়ো’ জবকার্ড নিয়ে দিল্লিতে বসে বাজার গরম করুন না কেন, সরকারি হিসাবে ১০০ দিনের কাজে বাংলার পরিসংখ্যান বেশ উজ্বল। কেন্দ্র টাকা বন্ধ করে দেওয়ার আগে পর্যন্ত কয়েক বছর ১০০ দিনের কাজে দেশের সেরা হয়েছে বাংলা। আবার ১০০ দিনের দুর্নীতি খুঁজতে কেন্দ্র থেকে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় দলও এসেছে। তাদের রিপোর্টও জমা পড়েছে। কিন্তু সেসব রিপোর্টে দুর্নীতির বিশেষ প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement